জরাজীর্ণ অবস্থায় কাঠের সেতুর। ভেঙে পড়েছে পাঠাতন। আর সেই ভগ্ন পাটাতনের উপর দিয়েই কোনোক্রমে প্রাণ হাতে করে নিয়ে যাতায়াত করছে এলাকার মানুষ। একবার কোনোরকমে ব্যালেন্স হারালেই এক্কেবারে সোজা খালে। এর আগেও নাকি একাধিকবার একাধিক মানুষ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি বিধানসভার গোপালনগর এলাকা। কাঠের সেতুর একদিকে রয়েছে কুলপি গ্রাম পঞ্চায়েত। অন্যদিকে রয়েছে কামারচক গ্রাম পঞ্চায়েত। আর দুই পঞ্চায়েতের মাঝের এই সংযোগকারী সেতুরই এখন ভগ্নদশা।
মূলত এই কাঠের পোলের উপর দিয়েই দুটি পঞ্চায়েতের মশামারী, গোপালনগর, মল্লিকপাড়া, মন্ডলপাড়া, ঘোষপাড়া সহ ৫ থেকে ৬টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। এই বেহাল কাঠের সেতুর কারণে গাড়ি চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছন কয়েক হাজার মানুষ।
এইভাবেই প্রাণ হাতে নিয়ে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ যাতায়াত করে। অন্যদিকে কোনও মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার ঘুরে তাঁকে চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌঁছতে হচ্ছে।
একাধিক বার স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ‘দিদিকে বলো’, ইরিগেশন– প্রত্যেকটি দপ্তরকে জানিয়েছে। কিন্তু তারপরেও কাজ হয়নি। ভোটের সময় আসলে প্রতিশ্রুতি মেলে। আর কোনও রকমে মেরামত হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার যে কে সেই অবস্থা। জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে রয়েছে এই কাঠের সেতু।
তবে বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন বিধায়ক। তিনি জানান, সেতুটির সত্যিই বেহাল দশা। যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। বিষয়টি নিয়ে ইরিগেশনকে বারে বারে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না জানি না।
অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী দলের নেতৃত্বরা। তবে ২ পঞ্চায়েতের টানাপোড়নের মধ্যে পড়েই এখন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।