October 31, 2025
দেশ

বৈষ্ণোদেবী যাত্রাপথে ভয়াবহ ধস, মৃত ৩১ জন; আটকে বহু তীর্থযাত্রী, বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর

জম্মু-কাশ্মীরে টানা ভারী বর্ষণে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ পরিস্থিতি। প্রবল বৃষ্টির জেরে একাধিক জায়গায় ধস নামছে, ভেঙে পড়েছে সেতু, বিচ্ছিন্ন হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিশেষ করে বৈষ্ণোদেবীর যাত্রাপথে ধসে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু এবং ২৩ জন আহত হওয়ার খবর মিলেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ধ্বংসস্তূপের নীচে আরও অনেকে আটকে রয়েছেন।

গত তিন দিন ধরে টানা বর্ষণে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে। কোথাও হড়পা বান, কোথাও ধস নামছে। জম্মু অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে—সেতু ভেঙে পড়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ক্ষতিগ্রস্ত মোবাইল টাওয়ার।

রিয়াসির এসএসপি পরমবীর সিংহ জানিয়েছেন, বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের কাছে ভূমিধসে অন্তত ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে আধকুয়ারি এলাকায় ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয়ের কাছে এই ধস নেমেছিল। আতঙ্কে পুণ্যার্থীরা ছুটোছুটি শুরু করেন।

ধসের পরপরই বৈষ্ণোদেবী মন্দির কমিটির সদস্য ও নিরাপত্তা বাহিনী উদ্ধারকাজ শুরু করে। ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রশাসন তাঁদের জন্য অস্থায়ী ত্রাণশিবিরে থাকা-খাওয়ার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। যাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

তবে প্রবল বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজে বারবার ব্যাঘাত ঘটছে। উদ্ধারকারী দলের এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানিয়েছেন—
“অবিরাম বৃষ্টির কারণে কাজ কঠিন হয়ে পড়ছে, তবে যত দ্রুত সম্ভব সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।”

আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, অন্তত দু’-তিন দিন এই খারাপ আবহাওয়া চলবে। আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কাটরা, জম্মু, সাম্বা, রিয়াসি, উধমপুর, ডোডা এবং কিশ্তওয়ার জেলায় ভূমিধস ও হড়পা বানের লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় আপাতত বৈষ্ণোদেবী যাত্রা সম্পূর্ণরূপে স্থগিত করা হয়েছে।

Related posts

Leave a Comment