November 1, 2025
দেশ

পথকুকুর আশ্রয়কেন্দ্রে না পাঠানোর সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন মেনকা গান্ধী ও প্রাণী অধিকার কর্মীরা

প্রাণী অধিকার কর্মী ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেনকা গান্ধী শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। আদালত দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলের পথকুকুরগুলোকে ধরে আট সপ্তাহের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর পূর্বের নির্দেশ বাতিল করেছে। নতুন নির্দেশ অনুযায়ী পৌর সংস্থাগুলোকে কুকুর ধরতে হবে, নির্বীজকরণ ও টিকা দেওয়ার পর আবার একই জায়গায় ছেড়ে দিতে হবে। মেনকা গান্ধীর মতে, এটি একটি “বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ”।

সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নতুন সিদ্ধান্তে আমি খুব খুশি। আগের নির্দেশ বাস্তবায়নযোগ্য ছিল না। সব কুকুরকে ধরে অন্যত্র পাঠানো একেবারেই অসম্ভব।”রাজধানী জুড়ে প্রাণী অধিকার কর্মীদের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। ‘পিপল ফর অ্যানিম্যালস’ (PFA)-এর সঙ্গে যুক্ত গৌরী মৌলেখি এই সিদ্ধান্তকে একটি ‘সুষম রায়’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এটি মানুষের উপকারে আসবে, জনস্বাস্থ্য উন্নত করবে এবং প্রাণীরাও সুরক্ষা পাবে। তিনি আরও জানান, কুকুরদের সরিয়ে দেওয়া যাবে না, তাদের ধরতে হবে, নির্বীজ করতে হবে, টিকা ও ওষুধ দিতে হবে এবং পরে আবার একই জায়গায় ছেড়ে দিতে হবে।

তবে যারা হিংস্র বা জলাতঙ্কে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকবে।তবে মেনকা গান্ধী “আগ্রাসী কুকুর”-এর সংজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, অনেক সময় মানুষ শুধুমাত্র তাকালেই বা গাড়ির কাছে এলে কুকুরকে হিংস্র বলে অভিযোগ করে। তাই প্রকৃতপক্ষে কীভাবে আগ্রাসন সংজ্ঞায়িত হবে, তা সুপ্রিম কোর্টকে পরিষ্কার করতে হবে।প্রাক্তন মন্ত্রী আরও জানান, গত দুই সপ্তাহে দিল্লি পৌর কর্পোরেশন প্রায় ৮০০ কুকুর ধরে নিয়ে গেছে যাদের কোনওখোঁজ নেই। অভিযোগ উঠেছে, তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়নি বরং যমুনার তীরে ফেলে দেওয়া হয়েছে যেখানে জলের স্তর ক্রমশ বাড়ছে। যদি তারা সত্যিই হিংস্র হতো, তবে খোলা জায়গায় কেন ছেড়ে দেওয়া হলো—এটি নিজেই আইনের পরিপন্থী।

গান্ধী ও মৌলেখি আদালতের সেই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন যেখানে বলা হয়েছে নির্দিষ্ট স্থানে কুকুরদের খাওয়ানো যাবে, যাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা না হয়। তবে তাদের দাবি, সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো এই নির্দেশের যথাযথ বাস্তবায়ন।মেনকা গান্ধী আরও জানান, বহু অ্যানিম্যাল বার্থ কন্ট্রোল (ABC) কেন্দ্র ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে নির্বীজকরণ প্রক্রিয়ার চাপ সামলানোর মতো পর্যাপ্ত জায়গা তাদের নেই। ফলে অবকাঠামো দ্রুত সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।

Related posts

Leave a Comment