নিজস্ব প্রতিনিধি: পুজোর পর ফের বঙ্গে হতে চলেছে বাণিজ্য সম্মেলন। সোমবার আয়োজিত স্টেট লেভেল ইনভেস্টমেন্ট সিনার্জি কমিটির বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রস্তাব দিয়েছেন, দুর্গাপুজোর পর রাজ্যে আয়োজিত হবে একটি বড় ব্যবসায়িক সম্মেলন — ‘বিজনেস ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ’। রাজ্যের শিল্পবান্ধব পরিবেশের টানে বহু শিল্পপতি নতুন প্রকল্পে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। সেই কারণে তাঁদের সকলের জন্য আবারও সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সোমবার এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর বুধবারই কলকাতা এলেন দেশের অন্যতম বড় শিল্প সংস্থা টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। সেই খবর সমাজমাধ্যমে জানিয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, বিনিয়োগ সংক্রান্ত জরুরি বার্তা নিয়েই নবান্নে এসেছেন টাটা সন্সের চেয়ারম্যান। তবে কি বাংলায় এবার টাটার হাত ধরে নতুন শিল্প হতে চলেছে? সেই প্রশ্ন উঠছে সব মহলে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন নিজে আসতে না পারলেও প্রতিনিধিকে পাঠিয়েছিলেন। পরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি ফোনে কথাও বলেছিলেন। সেসময় রাজ্যে টাটা সন্স বিনিয়োগের বার্তা দিয়েছিল। আর বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে চন্দ্রশেখরন কলকাতায় এলেন। এদিন বিকেলে নবান্নে তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর তাঁরা একান্তে বৈঠক করেন। মনে করা হচ্ছে, বাংলায় শিল্পস্থাপন নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা হয়েছে। আর তাতে ফের টাটাকে নিয়ে আশা বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলার শিল্পক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন এসেছে। একদা যে জমি জটিলতায় সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা তৈরি করতে এসেও বিদায় নিয়েছিল, সেই জমি নীতি সরল হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলেই। এখন অনেক সহজে এ রাজ্যে শিল্পের জন্য জমি এবং যাবতীয় পরিকাঠামো মেলে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রতি বছর বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন করে সেই বার্তা তুলে ধরেছেন দেশ-বিদেশের শিল্পপতিদের কাছে। বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ, কর্মীদের সহজলভ্যতা এবং ধর্মঘটহীনতাই এখানকার অ্যাডভান্টেজ। তা দেখে অনেকেই এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। ব্যতিক্রমী হয়নি টাটাও। সেই জল্পনাই মাথাচাড়া দিল বুধবারের এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে।