November 2, 2025
দেশ

মালদায় বাঁধ ভাঙায় বন্যা পরিস্থিতি, হাইকোর্টের রিপোর্ট তলব

মালদার মানিকচক ও রতুয়া এলাকায় ফুলাহার নদীর বাঁধ ভেঙে তৈরি হয়েছে বন্যাসদৃশ পরিস্থিতি। গত এক মাসে দু’বার ভাঙন ধরেছে নদীর বাঁধে। এতে শত শত বাড়ি প্লাবিত হয়েছে, ব্যাপক ফসলের ক্ষতি হয়েছে এবং বহু মানুষ দুঃসহ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা সেচ দফতরের কর্মকর্তাদের অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন।

রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই তিন কর্মকর্তাকে বদলি করেছে— প্রধান প্রকৌশলী গৌরচাঁদ দত্ত, নির্বাহী প্রকৌশলী শিবক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তদারকি প্রকৌশলী প্রতীক ভট্টাচার্য। নতুন কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, “প্রকৃতিকে মানুষের নিয়ন্ত্রণে আনা যায় না। আমরা নদীর গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।

এই কারণে আইআইটি রুরকির অধ্যাপক জুলফেকার আহমেদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।”এদিকে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, নতুন তৈরি বাঁধ এত দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হল কীভাবে— সে বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। জেলা প্রশাসন ও সেচ দফতরকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাঁধগুলির অবস্থা, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এবং দুর্গতদের স্বস্তি দিতে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

মন্ত্রী ভুঁইয়া জানান, অধ্যাপক আহমেদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি ADCP সার্ভে চলছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী আজ সর্বোচ্চ ১৭ মিটার গভীর ভাঙন ধরা পড়েছে।নতুন টিম দিনভর ভুটানি ও রতুয়া অঞ্চলের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছে। জেলা শাসককেও পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।

Related posts

Leave a Comment