দীননাথ চক্রবর্তী
নীলাঞ্জনা
দু’চোখে ঘুম নেই
জানি না এবার বাঁচাতে পারবে কিনা
লাস্ট ট্রেন চলে গেছে কখন
এইমাত্র ভদ্রক প্যাসেঞ্জারও
রাত্রির বুকে
শব্দচক্রের আল্পনা এঁকে এঁকে
মোবাইল স্ক্রীনে এখন
রাত দেড়টা
বুকেতে কী ভীষণ যন্ত্রণা
জানি না এবার বাঁচাতে পারবে কিনা।
কেন জান’?
তোমাকে নিয়ে ঝগড়া
আমার বুকের পাঁজরের সঙ্গে
আমি যত তাকে বলি
আমার সবটা কবিতার
আমার নীলাঞ্জনার
কিন্তু
কিছুতেই
বোঝাতে পারি না তাকে
ঝগড়া ক্রমশঃ
তীব্র থেকে তীব্রতর
তোমার সঙ্গে পারবে কেন?
ভাঙতে থাকে পাঁজর
একটার পর একটা
রক্তপাত
দধীচির হাড়ের মতো
কী ভীষণ যন্ত্রণা
জানিনা এবার বাঁচাতে পারবে কিনা।
ঘুম গেছে মরে
এক পা এক পা করে
রাত্রি বাড়ে
যন্ত্রণা বাড়ে ততই
আমার মৃত্যু বাড়ে
রাস্তার কুকুরের চিৎকার
গলা মেলায়
পাঁজরের ভাঙনের সঙ্গে ।
নীলাঞ্জনা
এবার কী বাঁচব’ আমি?
বুকের পাঁজর যখন ভাঙে
তুমি কী পারবে বাঁচাতে ?
এটাতো ঠিক
আমি যে পাঁজরের
যদিও তুমি মনের
কিন্তু পাঁজর না থাকলে
মন যে শূন্য
তুমি শূন্য
আমি শূন্য ।
নীলাঞ্জনা
এখন রাত্রি গুনি শুধু
কী জানি বাঁচাতে পারবে কিনা
শিয়রে আমার শূন্য রাত্রি।
previous post