কিস্তোয়ারে ৬৫ জন নিহতের কয়েকদিন পর আবারও বিপর্যয়। জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় রবিবার ভোরে মেঘ ভাঙার ফলে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। ঘটনায় অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চলছে।
প্রশাসনের বক্তব্য
জম্মু ডিভিশনাল কমিশনার রমেশ কুমার জানান: “গতরাত থেকে কাঠুয়ায় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল… ভূমিধসে সাতজন মারা গেছেন। উদ্ধার অভিযান চলছে… অনেককে হেলিকপ্টারে উদ্ধার করা হচ্ছে কারণ এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে… মৃতদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ড. জিতেন্দ্র সিংহ এক্স-এ লিখেছেন, “জাংলোট এলাকায় মেঘ ভাঙার খবর পেয়ে এসএসপি কাঠুয়া শোভিত সাক্সেনার সঙ্গে কথা বলেছি। ৪ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। রেলপথ, জাতীয় সড়ক ও কাঠুয়া থানায় ক্ষতি হয়েছে।”
তিনি মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং বলেন, প্রশাসন, সেনা ও আধা-সামরিক বাহিনী উদ্ধারকাজে নেমেছে ও পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সরকারি সতর্কবার্তা
জম্মু ও কাশ্মীর তথ্য ও জনসংযোগ দপ্তর এক্স-এ সতর্কবার্তা জারি করেছে: “কাঠুয়ায় প্রবল থেকে অতি প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। নদী, খাল, ঝরনা, পাহাড়ি ও ভূমিধসপ্রবণ এলাকা এড়িয়ে চলুন। আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে।”
কিস্তোয়ার বিপর্যয়
এর আগে, ১৪ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তোয়ারের চশোটি এলাকায় ভয়াবহ মেঘ ভাঙায় ৬৫ জন নিহত হন এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হন। অন্তত ৭৫ জন নিখোঁজ, স্থানীয়দের দাবি—শত শত মানুষ বন্যায় ভেসে গেছে এবং অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন। বিপর্যয়ে একটি অস্থায়ী বাজার, মাছাইল মাতার যাত্রীদের লঙ্গর (সামাজিক রান্নাঘর) এবং একটি নিরাপত্তা পোস্ট ভেসে যায়। অন্তত ১৬টি বাড়ি ও সরকারি ভবন, ৩টি মন্দির, ৪টি জলচালিত কল, ৩০ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু ও ডজনখানেক যানবাহন ধ্বংস হয়েছে।

