ঝাড়খণ্ড রাজ্য প্রায় ₹২,০০০ কোটি রাজস্ব ক্ষতির মুখে পড়তে পারে গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (GST) চালুর ফলে, জানালেন রাজ্যের অর্থ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রী রাধা কৃষ্ণ কিশোর। শনিবার রাঁচিতে আয়োজিত চতুর্থ ঝাড়খণ্ড মাইনিং সামিট-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি জানান, এসবিআই ও এইচডিএফসি-র মতো ব্যাংক খনিশিল্পকে এই পরিবর্তনের সময়ে সহযোগিতা করবে।মন্ত্রী কিশোর আহ্বান জানান, খনি সংস্থাগুলি যেন তাদের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (CSR) তহবিল জরুরি সামাজিক সমস্যার সমাধানে ব্যবহার করে।
পাশাপাশি তিনি কার্বন ক্রেডিটের ভূমিকা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন, যা টেকসই খনন নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।পিএইচডি চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (PHDCCI)-র উদ্যোগে এবং কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রকের সহযোগিতায় আয়োজিত এই সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল “Advances in Sustainable Mining।”অতিরিক্ত প্রধান বন সংরক্ষক রবি রঞ্জন (IFS) বলেন, ঝাড়খণ্ডের খনিজ সম্পদ ও ঘন জঙ্গল—উভয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। খননকাজ কেবল কার্যক্রম চলাকালীন নয়, বন্ধ হওয়ার পরও টেকসই হতে হবে।
তিনি রামগাডার-এ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন এবং জানান, ঝাড়খণ্ডই প্রথম রাজ্য যে টেকসই খননের জন্য আলাদা টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে।পিএইচডিসিসিআই চেয়ার ড. সঞ্জয় কুমার বলেন, খনি খাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন অপরিহার্য, কারণ আধুনিকীকরণই দায়িত্বশীল বৃদ্ধির চাবিকাঠি।সমাপ্তি বক্তব্যে প্রভাত রঞ্জন, আইডিএল এক্সপ্লোসিভস-এর ডিরেক্টর, খনি শিল্পে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সঙ্গে গবেষণা অংশীদারিত্বের আহ্বান জানান।প্রায় ৩৫০ জন স্টেকহোল্ডার উপস্থিত ছিলেন এই সম্মেলনে, যেখানে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়—ঝাড়খণ্ডে খনন এখন কেবল অর্থনীতির সঙ্গে সীমাবদ্ধ নয়, বরং প্রযুক্তি, পরিবেশ ও সামাজিক দায়বদ্ধতার সেতুবন্ধন।
