নয়াদিল্লি, ২৯ নভেম্বর: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বিপাক্ষিক সম্মেলন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোর জল্পনা। পর্যবেক্ষকদের মতে, দুই দেশের ঘনিষ্ঠ কৌশলগত সমন্বয় এবার কেবল প্রতিরক্ষা ও জ্বালানির সীমায় আটকে নেই—এর লক্ষ্য ক্রমশই একটি নতুন বহুমেরু বিশ্বব্যবস্থা নির্মাণে নেতৃত্ব দেওয়া।
দু’নেতার বৈঠকে ইউক্রেন সংঘাত, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ভূরাজনীতি, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, শক্তি বাণিজ্য ও রুপি-রুবল সেটেলমেন্টে অগ্রগতি—সবই ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। ভারত প্রায় প্রতিটি আন্তর্জাতিক ইস্যুতেই কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের পথ বেছে নিচ্ছে এবং রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ককে ‘ভারসাম্যনীতির মূল স্তম্ভ’ হিসেবে তুলে ধরছে।
রাশিয়া, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার চাপে, ভারতকে ‘বিশ্বস্ত সহযোগী’ হিসেবে আরও গভীরভাবে কাছে টানতে চাইছে। পুতিন-মোদী বৈঠকের বার্তা সেখানেই—দুই দেশ মিলিয়ে এমন এক সমান্তরাল বৈশ্বিক ব্যবস্থার রূপরেখা আঁকছে যেখানে রাজনৈতিক চাপ, মুদ্রা আধিপত্য ও সামরিক প্রভাবের একচেটিয়া ক্ষমতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে।
যদিও পশ্চিমা কূটনীতিকরা এটিকে ‘ভূরাজনৈতিক অবস্থান মজবুত করার স্বাভাবিক প্রয়াস’ বলে মন্তব্য করেছেন, তবুও নয়াদিল্লি ও মস্কোর নয়ার্কিটেকচার-বিষয়ক কথাবার্তা আন্তর্জাতিক শক্তির ভারসাম্যে আরও একটি বদলের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ভারত স্পষ্টভাবেই বলেছে—বহুমেরুত্বই ভবিষ্যতের পথ, এবং উন্নয়নশীল বিশ্বের স্বরকে জোড়ালো করতে রাশিয়ার সঙ্গে সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনের ফলাফল সামনে আনতে দু’দেশই পরবর্তী সপ্তাহে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করবে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
Putin-Modi sum
