আসানসোল, ১৭ জুন: নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে অন্তর্কলহ ও দলবদলের হিড়িক। বিশেষ করে শাসক দলে প্রকাশ্যে এসেছে নেতৃত্বের মধ্যেকার মতপার্থক্য ও অসন্তোষ।
রাজ্য কমিটির সম্পাদক প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতিকে। তাঁর অভিযোগ, সভাপতি দলের সকল কর্মীকে সাথে নিয়ে চলতে পারছেন না। সভাপতি হওয়ার আগে যে কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস এক লক্ষ ভোটে জিতেছিল, সেখানে তাঁর নেতৃত্বে ব্যবধান কমে মাত্র চল্লিশ হাজার হয়েছে।
রাজ্য সম্পাদকের আরও দাবি, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই সভাপতি বিজেপির টিকেট পাওয়ার আশায় দৌড়াদৌড়িতে ব্যস্ত হন এবং তাঁর সমর্থকরা বিজেপিতে যোগ দিতে শুরু করেছিলেন। সভাপতি তাঁর এলাকা বিজেপিকর্মীদের সাথে সংঘর্ষে জড়ান এবং বিজেপিকে অল্প হলেও সুবিধা করে দেন। তিনি আরও বলেন, সভাপতি দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় লিপ্ত, যা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।
রাজ্য সম্পাদকের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, সভাপতি যদি কর্মীদের সাথে ভালো আচরণ না করে ও নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে দলের পক্ষে ভালো ফলাফল করা কঠিন হয়ে যাবে।
অন্য দিকে বিজেপির রাজ্য নেতা ও আসানসোল পৌরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, শাসক দলের অন্দরকলহ প্রকাশ্যে আসায় বিজেপির সুবিধাই হচ্ছে। তিনি আরও উল্লেখ করেছিলেন যে দুর্নীতি ও অপরাধের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দলে নেওয়া হবে না। রাজ্য সম্পাদকের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিয়েই বিজেপিতে কারো অন্তর্ভুক্তিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
previous post