সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনে চমকপ্রদ সাফল্য অর্জন করেছে ভারত। সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে প্রতিরক্ষা পণ্যের উৎপাদন পৌঁছেছে ১.৫ লাখ কোটি টাকায় বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা উৎপাদন দফতরের উপ-মহানির্দেশক (ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল) সুশীল সাপট।
শুক্রবার জয়পুরে রাজস্থান ইন্ডাস্ট্রিজের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, “গত এক বছরে এই উৎপাদন থেকে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলিতে ২৩,৬০০ কোটি টাকার পণ্য রফতানি করা হয়েছে।”তিনি আরও জানান, মোট উৎপাদিত সামগ্রীর প্রায় ২২.৫ শতাংশ এসেছে বেসরকারি খাত থেকে। সরকারের উৎসাহ ও নীতি সহায়তার ফলে আরও বেশি সংখ্যক কোম্পানি প্রতিরক্ষা উৎপাদনে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
এর প্রমাণ হলো প্রতিরক্ষা উৎপাদনের লাইসেন্স সংখ্যা ২৪৬ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪২-এ।বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় উদ্যোগ ভবনে, যেখানে সভাপতিত্ব করেন রাজস্থান ইন্ডাস্ট্রিজ ও কমার্সের প্রধান সচিব অলোক গুপ্তা। এতে আরআইআইসিও (RIICO)-র কর্মকর্তারাও অংশ নেন এবং প্রতিরক্ষা শিল্পে বিনিয়োগ ও কারখানা স্থাপনের জন্য রাজস্থানে জমির প্রাপ্যতা ও কৌশলগত অবস্থান তুলে ধরেন। রাজ্য সরকার প্রতিরক্ষা এয়ারোস্পেস নীতি প্রণয়নের ইচ্ছাও ব্যক্ত করেছে বলে সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন।রাজস্থান ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন স্কিম (RIPS 2024)-এর সুবিধাগুলিও বৈঠকে আলোচিত হয়।
উদ্যোক্তারা লাইসেন্স ও অনুমোদন পাওয়ার জটিলতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং প্রতিরক্ষা উৎপাদন মন্ত্রণালয়কে রাজস্থানে একটি প্রদর্শনী আয়োজনের অনুরোধ জানান, যেখানে প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উপস্থাপন করা যাবে।সরকারি মুখপাত্র আরও জানান, উদ্যোক্তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে প্রতিরক্ষা সামগ্রীর পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে এবং এর ফলে রাজ্যে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ আসবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিজ কমিশনার রোহিত গুপ্তা, আরআইআইসিও-র ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিবাঙ্গী স্বর্ণকর, বিনিয়োগ প্রচার ব্যুরোর কমিশনার সুরেশ ওলা-সহ প্রতিরক্ষা উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ২০টি শিল্প ইউনিটের প্রতিনিধি।
