মঙ্গলবার মেঘালয়ের উমরোয় জয়েন্ট ট্রেনিং নোডে (JTN) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হল ভারত ও থাইল্যান্ডের যৌথ সামরিক মহড়ার ১৪তম সংস্করণ ‘এক্সারসাইজ মৈত্রী–XIV’।এই মহড়া ১ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
দুই দেশের সেনারা এতে অংশ নিয়ে কার্যকরী সমন্বয় জোরদার করবে এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও গভীর করবে।ভারতের পক্ষ থেকে মাদ্রাজ রেজিমেন্টের একটি ব্যাটালিয়নের ১২০ জন সেনা অংশ নিচ্ছেন। থাইল্যান্ডের রয়্যাল আর্মি থেকে অংশ নিচ্ছেন ১৪তম ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের ১ম ব্যাটালিয়নের ৫৩ জন সেনা।প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য হবে আধা–শহুরে এলাকায় কোম্পানি–স্তরের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা।
এটি জাতিসংঘ সনদের সপ্তম অধ্যায়ের কাঠামোর অধীনে হবে, যেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বল প্রয়োগের বিধান রয়েছে।দুই সপ্তাহের এই কর্মসূচিতে থাকছে কৌশলগত মহড়া, যৌথ পরিকল্পনা, বিশেষ অস্ত্র প্রশিক্ষণ, ফিটনেস রুটিন, এবং হঠাৎ আক্রমণ অভিযান। সবশেষে ৪৮ ঘণ্টার একটি ‘ভ্যালিডেশন এক্সারসাইজ’-এর মাধ্যমে মহড়া শেষ হবে, যেখানে বাস্তবসম্মত পরিস্থিতি অনুকরণ করে দুই বাহিনীর সমন্বয় ও দক্ষতা পরীক্ষা করা হবে।২০০৬ সালে প্রথম শুরু হওয়া ‘এক্সারসাইজ মৈত্রী’ ভারত–থাইল্যান্ড প্রতিরক্ষা সহযোগিতার একটি মূল ভিত্তি হয়ে উঠেছে।
এটি পালাক্রমে দুই দেশে অনুষ্ঠিত হয়। ২০২২ সালে ১৩তম সংস্করণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল থাইল্যান্ডের তাক প্রদেশে।কৌশলগত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি, এই মহড়া দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়েরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ, যা ঐতিহাসিক সভ্যতাগত সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মৈত্রী–XIV আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা এবং ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে নিয়ম–ভিত্তিক শৃঙ্খলার প্রতি নয়াদিল্লি ও ব্যাংককের যৌথ অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে।