October 31, 2025
দেশ

চীন সীমান্ত ঘেঁষে নতুন রেললাইন: সংযোগ ও নিরাপত্তা জোরদার করছে ভারত


ভারত তার পূর্ব সীমান্তে চীনের লাগোয়া এলাকায় প্রায় ৫০০ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ করছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, মালামাল পরিবহনে গতি আনা এবং সামরিক প্রস্তুতি আরও শক্তিশালী করা।প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তার মতে, এতে একাধিক সেতু ও সুড়ঙ্গ অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং চার বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারি খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৩০ ট্রিলিয়ন টাকা। কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে, যা চীন ছাড়াও বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভুটান সীমান্তবর্তী এলাকাকে জাতীয় রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করবে।যদিও প্রকল্পটি গোপনীয় রাখা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-চীন সম্পর্ক কিছুটা উষ্ণ হওয়ায় এই অবকাঠামো উন্নয়ন দীর্ঘমেয়াদে উন্নয়ন কৌশল হিসেবেও কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।ভারত ইতিমধ্যেই গত এক দশকে সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক সড়ক নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে:

  • ৯,৯৮৪ কিমি নতুন রাস্তা নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে, খরচ হয়েছে প্রায় ১.০৭ ট্রিলিয়ন রুপি
  • ৫,০৫৫ কিমি রাস্তা নির্মাণাধীন রয়েছে।

এগুলো সাধারণ মানুষের চলাচল সহজ করার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা সামরিক জরুরি অবস্থায় দ্রুত সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা বাড়াবে।একই সঙ্গে, পূর্ব সীমান্ত এলাকায় নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ চলছে, যেখানে হেলিকপ্টার ও সামরিক বিমানের জন্য বিশেষ সুবিধা থাকবে। এই স্থানটি ১৯৬২ সাল থেকে অব্যবহৃত ছিল।এছাড়া, উত্তরের লাদাখ অঞ্চলেও রেললাইন সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় রয়েছে, যেখানে চীনের সঙ্গে উত্তেজনা অব্যাহত। বর্তমানে ভারতের রেল নেটওয়ার্ক জম্মু-কাশ্মীরের বারামুল্লা পর্যন্ত পৌঁছেছে।চীনও পিছিয়ে নেই—২০১৭ সালের ডোকলাম অচলাবস্থার পর থেকে তারা সীমান্তে বিমানবন্দর, হেলিপ্যাড এবং সেনা পরিবহনের জন্য অবকাঠামো দ্রুত তৈরি করছে।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার সংবেদনশীল সীমান্ত অঞ্চলে যোগাযোগ ও পরিবহন অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান সীমান্ত ও ডোকলামের কাছাকাছি ১,৪৫০ কিমি নতুন রাস্তা নির্মাণ। এ বছরের শুরুতে মোদি বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতুর উদ্বোধন করেন, যা কাশ্মীর উপত্যকাকে দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করেছে।

Related posts

Leave a Comment