রাশিয়ার সরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিনকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”আমরা সব সময়ই বলে এসেছি, আবারও বলতে চাই ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে আলোচনায় বসতে আমরা রাজি। আমি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একমত, যদি ২০২০ সালে ওঁকে হারিয়ে না দেওয়া হত, ২০২২ সালে ইউক্রেনের সমস্যা তৈরিই হত না।”মসনদে বসার আগেই ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, “২৪ ঘণ্টায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেব।’
এখানেই থামেননি তিনি। ‘বন্ধু’ ইউক্রেনকেই সমঝোতার পথে হাঁটার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ক্রাইমিয়া এবং দোনবাসের সীমান্ত এলাকাগুলো দখল করতে চায় রাশিয়া। ইউক্রেনকে চাপ দেওয়া হবে ওই এলাকাগুলো রাশিয়ার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। এরপর জানুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই এই যুদ্ধের বন্ধ হোক। আমরা দুদেশের সংঘাতে ইতি টানবই।’
পাশাপাশি দ্রুত ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের জন্য তিনি প্রস্তুত বলেই জানিয়েছেন পুতিন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। মার্কিন অস্ত্রবলেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণ শুরু করেছে কিয়েভ। মস্কোর প্রতিটা আক্রমণের কড়া জবাব দিচ্ছে ইউক্রেনীয় ফৌজ। কিন্তু এবার ভাঁড়ারে টান পড়তে শুরু করেছে ওয়াশিংটনের। ট্রাম্প সেই জন্যই দ্রুত যুদ্ধ থামাতে মরিয়া বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
previous post
next post