উত্তরপ্রদেশের সাম্ভল দাঙ্গা নিয়ে বিচার বিভাগীয় কমিশনের জমা দেওয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ সালের দাঙ্গার পর এলাকায় হিন্দু জনসংখ্যা ১৫ শতাংশ কমে গেছে।অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ডি কে অরোরার নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিশন এই ৪৫০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট তৈরি করে। অন্য দুই সদস্য ছিলেন প্রাক্তন ডিপি জি এ কে জৈন এবং অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অমিত মোহন প্রসাদ।রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিব সঞ্জয় প্রসাদ, স্বরাষ্ট্র বিভাগের প্রধান সচিব এবং সংসদীয় বিষয়ক সচিব উপস্থিত ছিলেন।
রিপোর্টটি প্রথমে রাজ্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে, তারপর বিধানসভায় টেবিলে রাখা হবে এবং পরে প্রকাশ করা হবে।সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, সাম্ভলে একাধিকবার দাঙ্গার কারণে হিন্দু জনসংখ্যা ক্রমশ কমেছে। বর্তমানে মাত্র ১৫ শতাংশ হিন্দু সেখানে রয়েছেন, বাকিরা অন্যত্র চলে গেছেন। স্বাধীনতার সময় সাম্ভল নগরপালিকায় হিন্দুদের সংখ্যা ছিল ৪৫ শতাংশ। অর্থাৎ ৭৮ বছরে হিন্দু জনসংখ্যা ৩০ শতাংশ কমে গেছে।এখন পর্যন্ত সাম্ভলে ১৫টি দাঙ্গা ঘটেছে এবং অভিযোগ রয়েছে যে হিন্দুদের জোর করে ধর্মান্তর করা হয়েছে। রিপোর্টে আরও উল্লেখ আছে, ঐতিহাসিকভাবে সেখানে হরিহর মন্দিরের অস্তিত্ব ছিল।
১৯৭৮ সালের দাঙ্গার পর থেকে হিন্দু জনসংখ্যা দ্রুত হ্রাস পেতে শুরু করে।কমিশনের সদস্য ও প্রাক্তন ডিপি জি আরভিন্দ কুমার জৈন বলেন, “আমরা প্রতিটি দিক বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখেছি।”২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর জামা মসজিদে আদালতের নির্দেশে জরিপ চলাকালীন সংঘর্ষে চারজন নিহত হন।হিন্দু পক্ষের দাবি, জামা মসজিদের জায়গায় আগে হরিহর মন্দির ছিল, যা ১৫২৯ সালে বাবর ভেঙে দিয়ে সেখানে মসজিদ তৈরি করেন। এ নিয়ে ২০২৪ সালের ১৯ নভেম্বর সাম্ভল আদালতে একটি পিটিশন দায়ের হয় এবং সিভিল জজ আদিত্য সিং মসজিদের ভেতরে জরিপের নির্দেশ দেন।
এই ঘটনায় এসপি সাংসদ জিয়াউর রহমান বার্ক, এসপি বিধায়ক ইকবাল মাহমুদের ছেলে সুহেল ইকবালসহ মোট ৪০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়। এছাড়াও ২,৭৫০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকেও অভিযুক্ত করা হয়।চলতি বছরের ১৮ জুন এসআইটি আদালতে ১,১২৮ পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা দেয়, যেখানে এসপি সাংসদ বার্কসহ ২৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
previous post
