অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শনিবার জামিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের সভাপতি মৌলানা মাহমুদ মাদানির মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। মাদানি শর্মার বিরুদ্ধে তথাকথিত ‘বিদ্বেষমূলক ভাষণ’-এর অভিযোগ তুলে তাকে পদ থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছিলেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, এই দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং জামিয়ত নেতৃত্ব আধুনিক অসমের বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন।
শর্মা বলেন, “জামিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ যে ধরণের রাজনীতি করে, তার আজকের অসমে কোনো প্রাসঙ্গিকতা বা বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।” শতবর্ষী এই ইসলামী সংগঠনটির সঙ্গে শর্মার সংঘাত নতুন নয়; অবৈধ অভিবাসন, উচ্ছেদ অভিযান ও পরিচয় রাজনীতির মতো ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছে। মাদানির সাম্প্রতিক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া তৈরি হলেও, শর্মা এটিকে নিজের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসনের অবস্থান পুনর্নিশ্চিত করার সুযোগ হিসেবে নেন।
রাজনৈতিক এই তর্ক-বিতর্কের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের দিকেও মনোনিবেশ করেন। জগীরোডের ড্রিমল্যান্ড ময়দানে এক বিশাল জনসভায় তিনি মুখ্যমন্ত্রী মহিলা উদ্যোক্তা মিশনের আওতায় প্রায় ৩৮,০০০ নারী উদ্যোক্তার হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। এই প্রকল্পের লক্ষ্য মহিলাদের ব্যবসা শুরু ও সম্প্রসারণের জন্য মূলধন সহায়তা দিয়ে আত্মনির্ভরতা বাড়ানো। শর্মা বলেন, “অসমের উন্নয়নের গতি দুই থেকে দশে পৌঁছে গেছে, সামনের দিনে তা আরও শক্তিশালী হবে,” এবং মহিলাদের সরকারি সহায়তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে আহ্বান জানান।
এর আগে দিনেই তিনি জগীরোড সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্প এলাকায় দশতলা মহিলাদের হোস্টেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, যা রাজ্যের শিল্পায়নের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি মায়াং সার্কেল কমপ্লেক্সে জগীরোড উপ-বিভাগীয় কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরও উদ্বোধন করেন। এদিনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পীয়ুষ হাজরিকা, জয়ন্ত মল্লা বড়ুয়া, মরিগাঁও বিধায়ক রামকান্ত দেওড়ি এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
