মুম্বাইয়ে অতি বৃষ্টির মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে একটি মনোরেল আটকে পড়ে, যাত্রীদের সরিয়ে নিতে হয়। প্রবল বর্ষণে শহরের স্বাভাবিক জীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি), ফায়ার ব্রিগেড ও মুম্বাই পুলিশ যৌথভাবে মাইসোর কলোনি স্টেশনের কাছে আটকে পড়া মনোরেলের যাত্রীদের উদ্ধার অভিযানে নামে।
“মাইসোর কলোনি স্টেশনের কাছে একটি মনোরেল ট্রেন বিদ্যুৎ সরবরাহে সামান্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। আমাদের অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ দল ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং দ্রুত সমস্যার সমাধানে কাজ করছে,” এক্স-এ (X) জানায় মহা মুম্বাই মেট্রো অপারেশন কর্পোরেশন লিমিটেড (এমএমএমওসিএল)।
দিনের শুরুতে এমএমএমওসিএল শহরবাসীকে প্রবল বৃষ্টির কারণে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিল, যদিও তখন তারা জানিয়েছিল মনোরেল সেবা স্বাভাবিক রয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে মুম্বাইয়ে টানা ভারী বৃষ্টি চলছে। ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর ১৮ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের কয়েকটি জেলায় রেড ও অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছে।
রেড অ্যালার্টের পরিপ্রেক্ষিতে বিএমসি শহরের সব সরকারি ও আধা-সরকারি অফিসে ছুটি ঘোষণা করেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও কর্মীদের বাসা থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তবে জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিতদের জন্য এই ছাড় প্রযোজ্য নয়।
বন্দ্রা-খার লিঙ্ক রোড, চেম্বুর, ভাইরার-ভিরার, চুনাভাট্টি সহ বিভিন্ন এলাকায় জলজটের খবর পাওয়া গেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বাইয়ের কিছু অংশে ২৫০ মিমি’রও বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
সোমবার সকাল ৮:৩০ থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮:৩০ পর্যন্ত বিক্রোলি ২৫৫.৫ মিমি, বাইলাসা ২৪১ মিমি, সান্তাক্রুজ ২৩৮.২ মিমি, জুহু ২২১.৫ মিমি, বন্দ্রা ২১১ মিমি, কোলাবা ১১০.৪ মিমি এবং মহালক্ষ্মী ৭২.৫ মিমি বৃষ্টিপাত পেয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তা
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জানিয়েছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা মুম্বাই, থানে, রায়গড়, রত্নাগিরি ও সিন্ধুদুর্গ জেলার জন্য সমালোচনামূলক হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, “মুম্বাই প্রায় ৩০০ মিমি রেকর্ড বৃষ্টি পেয়েছে। শহরের লাইফলাইন উপনগর ট্রেনগুলো দেরিতে চলছে বা ধীরগতিতে চলছে। মিঠি নদীর পানি বিপদসীমা স্পর্শ করেছে এবং ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। উপ-মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সরেজমিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।”
