ঘাটাল, পশ্চিম মেদিনীপুর: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন! তার আগে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তাদের সাংগঠনিক রদবদলের মধ্য দিয়ে সংগঠন গোছাতে ব্যস্ত। সবে ঘাটাল তৃণমূল সংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতি দায়িত্ব নিয়ে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কর্মী সম্মেলন থেকে ঘাটালে তৃণমূলের সকল নেতৃত্বকে একসাথে লড়াই করে বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের লক্ষ্যমাত্রা দেন দলের নেতা মন্ত্রীরা। তার এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই, আবারও শাসক দলের অস্বস্তি বাড়লো ঘাটালে! ঘাটাল সংগঠনিক জেলা বিজেপির কর্মী সম্মেলন থেকে যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা তৃণমূল কর্মীদের হাতে বিজেপির দলীয় পতাকা তুলে দেন ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট। এ দিনের কর্মসূচিতে বিধায়ক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিজেপির নেতাকর্মীরা। ঘাটাল ব্লকের মনসুকা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুর গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য শুভেন্দু হাজরা, খড়ার পৌরসভার ৯ নাম্বার ওয়ার্ড এর তৃণমূল নেতা তুফান চৌধুরী, ঘাটাল পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী প্রদীপ মান্না, সোনা মল্লিক, সুদাকর সানকি, সহ খড়ার পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম নেতা রঞ্জিত সামন্ত যোগদান করলো বিজেপিতে। সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী বলরামপুর গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য শুভেন্দু হাজরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে শাসক দল মানুষের উন্নয়ন না করে, রাস্তাঘাট না তৈরি করে নিজেদের পকেট ভাড়াতে ব্যস্ত।
তাই মোদিজীর উন্নয়ন মানুষের সামনে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেছি। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কার্যত ভ্রষ্টাচারী রাজনৈতিক দলের পরিণত হয়েছে তাই মানুষ এদের থেকে পরিত্রাণ চাইছে। এ বিষয়ে ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, আগামী দিনে আরো তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিজেপিতে যোগদান করবে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার গড়বে যেটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
তবে এই যোগদান বিষয়ে ঘাটালের ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দিলিপ মাজী এই যোগদানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ, পাল্টা বিজেপিকে তীব্রভাবে কটাক্ষ করেছেন তিনি। তিনি জানান ভোটে দাঁড়ানোর আগেও উনি বিজেপি করতেন আমাদের ছেলেদের কথাই তৃণমূলের টিকিট দিয়েছিলাম। ভোটে জেতার পরে বায়না ধরেছিল, চাকরি দিতে হবে, তাই তার কথা।
