তাইহুকু বিমানবন্দরের ঘটনার পর যখন বসু পরিবারে কার্যত শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শুরু হয়েছে। সেদিন সকালেই মহাত্মা গান্ধীর একটি টেলিগ্রাম আসে,তিনি সেখানে লিখেছিলেন সুভাষের কোন রকমের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান বা শোকসভা থেকে তারা যেন বিরত থাকেন। শুধুমাত্র মহাত্মা গান্ধীর সেই টেলিগ্রাম টাই সারা ভারত বর্ষ তথা সারা বিশ্বের কাছে উদ্দীপনা তৈরি করে দিয়েছিল। সেটাই সারা ভারতবর্ষে মানুষের কাছে আবেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল , এরপর সারা ভারতবর্ষের মানুষ এই আশা নিয়ে বেঁচে ছিলেন যে তাদের নেতাজি বেঁচে আছেন তিনি ফিরে আসবেন।রাহুল গান্ধী কার ডিএনএ বহন করছেন, তিনি বলেছিলেন তিনি খোলা তরোয়াল নিয়ে নেতাজি সুভাষ বোস কে স্বাগত জানাবেন। স্বাধীনতার পরও মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন সুভাষকে আমি যতটা চিনি তার যে ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে আমার ধারণা আছে তাতে আমার মনে হয় সুভাষ মারা যেতে পারে না। গান্ধীজি বলেছিলেন সুভাষ বেঁচে আছে. সেই রাতেই নেহেরু যখন গান্ধীজীর কাছে যান , পরবর্তীকালে গান্ধীজি বলেন সুভাষ আমাদের মনে বেঁচে আছে। যতদিন ভারতবর্ষে থাকবে এই বিতর্ক থাকবে তাই কার্যত ইতিহাসের বুক থেকে নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের নাম মুছে ফেলার যে ঘৃণ্য চক্রান্ত তারা করেছিলেন তার যোগ্য জবাব দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। তিনি ইন্ডিয়া গেটে সুভাষ চন্দ্রের মূর্তি স্থাপনা করে দিয়েছেন। দিল্লির বুকের উপর দাঁড়িয়ে যেন নেতাজি বলছেন “আমাকে যদি কেউ অনুপ্রাণিত করতে পারে সেটা ঋষি অরবিন্দের পত্রাবলী স্বামীজীর বিপ্লবী চিন্তা ধারা. আমি কারো প্রতিধ্বনি নই আমি কারো প্রতিচ্ছবি নই”। নেতাজি তার কালজয়ী সত্তা নিয়ে দেখুন ইন্ডিয়া গেটে তিনি দাঁড়িয়ে আছেন। যেটা কিনা গান্ধী পরিবারের আজ গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা সুভাষ চন্দ্র বোসের মৃত্যু দিবসও ঘোষণা করে দিয়েছে সারা ভারত বর্ষ সারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই ঘটনাকে নিন্দা জানাবে ধিক্কার জানাবে ।এই রাজনীতি করে রাহুল গান্ধীর পূর্বপুরুষ ও সফল হতে পারেনি সেও পারবেনা। নেতাজি ছিলেন নেতাজি আছেন নেতাজি থাকবেন।
previous post
next post
