মিলন খামারিয়া, কাঁচরাপাড়া, ২৩ জুলাই: আজ কাঁচরাপাড়া হার্ণেট উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল ছাত্রদের ‘কাজল ও শুভাশিস স্মৃতি’ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের ফুটবল খেলা। বিদ্যালয়ের দু’জন ছাত্র – কাজল মুখার্জি ও শুভাশিস চক্রবর্তীর অকাল প্রয়াণে শুরু হয় এই ফুটবল প্রতিযোগিতা। প্রতি বছরই হয় খেলা।
গত ৮ ই জুলাই থেকে এবছর খেলা শুরু হয়। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্ররা এতে অংশগ্রহণ করে গ্রুপ অনুযায়ী। পঞ্চম শ্রেণি ‘এ’ , ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি মিলিয়ে ‘বি’, অষ্টম ও নবম শ্রেণি মিলিয়ে ‘সি’; দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি মিলিয়ে হয় ‘ডি’ গ্রুপ। বিভিন্ন শ্রেণির নির্বাচন পর্বের খেলার শেষে আজ হল চূড়ান্ত পর্বের খেলা। এ, বি, সি ও ডি গ্রুপে বিজয়ী হল যথাক্রমে পঞ্চম শ্রেণির বিভাগ ‘খ’, সপ্তম শ্রেণির বিভাগ -‘খ’, নবম শ্রেণির বিভাগ -‘ঘ’ ও একাদশ শ্রেণির ‘কলা’ বিভাগ।
এই খেলা দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। সেই সাথে উপস্থিত ছিলেন কাঁচরাপাড়া পৌরসভার পৌরপিতা ও কাঁচরাপাড়া হার্ণেট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি কমল অধিকারী। বিদ্যালয়ের ছাত্রদের খালি পায়ে খেলতে দেখে তিনি বলেন, আমার দেখে ভীষণ খারাপ লাগছে যে, আমার বিদ্যালয়ের ছাত্ররা খালি পায়ে খেলছে। আমি এই মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করছি, এবছর খেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি ছাত্রকে খেলার জন্য জুতো কিনে দেব।
সুবোধ অধিকারী বলেন, প্রত্যেকের খেলাধুলা করা উচিত। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন – গীতাপাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলা ভালো। কেন বলেছেন তিনি? ছাত্ররা যদি ব্যায়াম করে, খেলাধুলা করে, নিয়মিত শরীর চর্চা করে তাহলে মস্তিষ্কের বিকাশ হবে। ফুটবল খেললে গীতাপাঠ ভালো করে করতে পারবে। ছাত্রদের সব দিক দিয়ে উন্নতি হবে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সিন্টু ভদ্র বলেন, আমরা চাই ছাত্ররা পড়াশোনার পাশাপাশি শারীরিক ভাবেও শক্তিশালী হোক। সুস্থ শরীর সুস্থ মন তৈরি করে আর সুস্থ মনে বিদ্যাভ্যাস ভালো করে করা যায়। আজকাল শিক্ষার্থীরা খেলার সুযোগ খুব কম পায়, তাই বিদ্যালয়ে এমন খেলা হলে ছাত্ররা যেমন আনন্দ পায় তেমন তাদের শারীরিক ও মানসিক উন্নতি হয়।
এই খেলা পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক ইমাম হোসেন। সহযোগিতায় ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সমীপ চ্যাটার্জি, শঙ্কর বিশ্বাস, কৌশিক পাত্র, ধীমান পাত্র, সুজিত বিশ্বাস, সৌমেন নিয়োগী, বিপ্লব ব্যানার্জি ও আরও অনেকে। আজকের অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মানসী মহুরি, সৌমি কুন্ডু, অপর্ণা সেন ও আরও অনেকে। সঞ্চালনা করেন সমীপ চ্যাটার্জি।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বীজপুরের সার্কেলের বিদ্যালয় পরিদর্শক কবীর আলী, বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির অন্য সদস্যগণ এবং বেশ কিছু অভিভাবক/ অভিভাবিকা। অংশগ্রহণকারী প্রতিটি ছাত্রদের জন্য ছিল বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা।