শনিবার নির্বাচন কমিশন (ECI) ভোটার তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, বহুস্তরীয় ও সর্বজনীন অংশগ্রহণভিত্তিক, যেখানে রাজনৈতিক দল ও নাগরিকরা প্রত্যেক ধাপে যুক্ত থাকেন।
প্রেস নোটে বলা হয়, ভোটার তালিকা তৈরির প্রতিটি পর্যায়ে রাজনৈতিক দলগুলির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয় এবং তাদেরকে ভুলত্রুটি চিহ্নিত করার সুযোগ দেওয়া হয়। নাগরিক ও রাজনৈতিক দল উভয়কেই এক মাস সময় দেওয়া হয় দাবি ও আপত্তি জানানোর জন্য।
কমিশন জানিয়েছে, স্বচ্ছতাই এই প্রক্রিয়ার মূল বৈশিষ্ট্য। তাই ডিজিটাল ও ছাপা কপি সকল স্বীকৃত রাজনৈতিক দলকে সরবরাহ করা হয় এবং নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়। আপত্তি জানানোর জন্য দুই স্তরের আপিল প্রক্রিয়া রয়েছে—প্রথমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং দ্বিতীয়ত রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে।
সম্প্রতি কিছু রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি পূর্ববর্তী ভোটার তালিকায় ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তুললেও কমিশনের বক্তব্য, এর জন্য নির্ধারিত সময় ছিল দাবি-আপত্তির পর্যায়ে। তবে কমিশন রাজনৈতিক দল ও নাগরিকদের সক্রিয় পর্যালোচনা স্বাগত জানায়, যাতে তালিকার ত্রুটি দূর হয় এবং একটি শুদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য ভোটার তালিকা নিশ্চিত হয়।

