রাঁচির খেলগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি প্রদর্শনী ইস্ট টেক ২০২৫-এর দ্বিতীয় দিনে ১,৫০০-রও বেশি দর্শক উপস্থিত ছিলেন। সেনা অফিসার, পুলিশ কর্মী, এনসিসি ক্যাডেট, শিক্ষার্থী ও শিল্প প্রতিনিধিরা প্রদর্শনীতে অংশ নেন। প্রদর্শনী হলে অনুষ্ঠিত হয় বি-টু-বি মিটিং, লাইভ ডেমো এবং শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে সরাসরি আলাপচারিতা, যা সেনাবাহিনী, শিল্প ও শিক্ষাক্ষেত্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংযোগকে ফুটিয়ে তোলে।
দিনের প্রধান আকর্ষণ ছিল “ঝাড়খণ্ডে এমএসএমই ও প্রতিরক্ষা করিডর উন্নয়ন” শীর্ষক সেমিনার। পাঁচজন বক্তা আলোচনা করেন কীভাবে স্থানীয় উদ্যোগগুলিকে প্রতিরক্ষা সরবরাহ শৃঙ্খলে যুক্ত করা যায় ডিজাইন, উৎপাদন, সাপ্লাই চেইন অংশগ্রহণ ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে। উদ্যোক্তা ও শিল্প নেতাদের মধ্যে আলোচনাটি প্রশংসিত হয় এবং ঝাড়খণ্ডকে প্রতিরক্ষা উৎপাদনের একটি কৌশলগত কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সম্ভাবনা জোর দিয়ে বলা হয়।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল সন্তোষ গঙ্গওয়ার, মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবং প্রতিরক্ষা স্টাফ প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান আত্মনির্ভরতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা দেশীয় সমাধান, উদ্ভাবন এবং যৌথ প্রবৃদ্ধির ডাক দেন।
২০০-রও বেশি প্রদর্শক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রদর্শন করেন। শুধু কার্যকর প্রযুক্তি চিহ্নিত করাই নয়, ইস্ট টেক ২০২৫-এর লক্ষ্য হচ্ছে ঝাড়খণ্ডের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গতি আনা, এমএসএমই-কে শক্তিশালী করা এবং প্রতিরক্ষা শিল্প বিনিয়োগ আকর্ষণ করা।দ্বিতীয় দিনের আলোচনা পুনরায় স্পষ্ট করে দেয় প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য: স্বদেশায়ন, শিল্প প্রবৃদ্ধি ও জাতীয় নিরাপত্তার প্রস্তুতি, পাশাপাশি প্রতিরক্ষা উৎপাদন করিডরে ঝাড়খণ্ডের আকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
