শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) শীর্ষ সম্মেলনের আগে রবিবার চীনের তিয়ানজিনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।গত বছর কাজানে হওয়া বৈঠকের পর ভারত-চীন সম্পর্ক ইতিবাচক দিশা পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন মোদী।
 তিনি বলেন, সীমান্তে সেনা প্রত্যাহারের ফলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারত বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ— তবে তা হতে হবে পারস্পরিক আস্থা, সম্মান ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে।
বৈঠকের প্রধান দিকগুলো
🔹 “ড্রাগন আর হাতির একসাথে আসাটাই সঠিক সিদ্ধান্ত” — শি
শি জিনপিং বলেন, “আমাদের উচিত ভালো প্রতিবেশী ও বন্ধু হওয়া, একে অপরের সাফল্যে সহযোগী হওয়া, আর ড্রাগন ও হাতিকে একত্রে নিয়ে আসা। এটা উভয়ের জন্যই সঠিক সিদ্ধান্ত।”
🔹 গ্লোবাল সাউথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
শি জিনপিং বলেন, “চীন ও ভারত প্রাচ্যের দুই প্রাচীন সভ্যতা। আমরা বিশ্বের দুই বৃহত্তম জনবহুল দেশ, আর গ্লোবাল সাউথের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও বটে। আমাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব হলো— দুই দেশের জনগণের উন্নতি, উন্নয়নশীল দেশগুলোর সংহতি ও পুনর্জাগরণ এবং মানবসমাজের অগ্রগতি নিশ্চিত করা।”
🔹 মোদীর বার্তা: আস্থা, সম্মান ও সংবেদনশীলতা
মোদী বলেন, “আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ— আমাদের সম্পর্ককে পারস্পরিক আস্থা, সম্মান ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে। SCO শীর্ষ সম্মেলনের সফল আয়োজনের জন্য আপনাদের শুভেচ্ছা জানাই, এবং এই বৈঠক ও আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ জানাই।”
🔹 মানবজাতির কল্যাণে ভারত-চীন সহযোগিতা
মোদী বলেন, “সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের বিশেষ প্রতিনিধিরা সমঝোতায় পৌঁছেছেন। কৈলাশ মানসরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইটও ফের চালু হচ্ছে। দুই দেশের ২.৮ বিলিয়ন মানুষের স্বার্থ আমাদের সহযোগিতার সঙ্গে যুক্ত। এর ফলে সমগ্র মানবজাতির কল্যাণের পথও প্রশস্ত হবে।”
🔹 কাজান বৈঠক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়েছে
মোদী বলেন, “গত বছর কাজানে আমাদের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল, যা সম্পর্ককে ইতিবাচক দিশা দিয়েছিল। সীমান্তে সেনা প্রত্যাহারের পর শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।”
এর আগে শনিবার মোদী তিয়ানজিনে পৌঁছান। প্রায় ১০ মাস পর তিনি শি জিনপিং-এর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন। সর্বশেষ তারা রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের সময় দেখা করেছিলেন।

