প্রাক্তন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং-এর মৃত্যুবার্ষিকী ও হিন্দু গৌরব দিবস উপলক্ষে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।তিনি বলেন, অপরাধে জড়িত নেতাদের মন্ত্রীপদে আসা ঠেকাতে যে আইন আনা হচ্ছে, তার বিরোধিতা করাই স্বাভাবিক বিরোধী দলগুলির পক্ষে, কারণ তাঁদের দলে অপরাধীর সংখ্যা কম নয়।
প্রধানের বক্তব্য, “যখন আইন কার্যকর হবে, তখন কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি এবং তাদের সহযোগী দলগুলির অনেক নেতাকেই আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।”উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, কল্যাণ সিং রামমন্দির আন্দোলনের সময় রামভক্তদের উপর গুলি চালানোর নির্দেশে স্বাক্ষর না করে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। অথচ আরেকদিকে, দুর্নীতির মামলায় জেলে গেলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল পদ ছাড়েননি। এই তুলনা টেনে কংগ্রেস ও বিরোধীদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রধানের দাবি, সংসদের যৌথ কমিটির সামনে যে আইন পেশ হয়েছে, তাতে স্পষ্ট বলা আছে—দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা কোনও মন্ত্রী জেলে গেলে ৩০ দিনের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, “নরেন্দ্র মোদি টানা ১১ বছর প্রধানমন্ত্রী, এবং আগামী দশকও থাকবেন। তবুও তিনি এমন আইন আনছেন যাতে নিজেকেও পদ ছাড়তে হতে পারে—যদি কখনও গ্রেপ্তার হন। এটাই তাঁর সততার প্রমাণ।”অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী, রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র, উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য ও ব্রজেশ পাঠক, বিজেপি রাজ্য সভাপতি ভূপেন্দ্র চৌধুরী এবং কল্যাণ সিং-এর পুত্র রাজবীর সিং। সকলেই কল্যাণ সিংকে স্মরণ করে তাঁকে জাতীয়তাবাদ ও সুশাসনের প্রেরণা বলে উল্লেখ করেন।
উমা ভারতী দাবি করেন, আলিগড়ের নাম বদল হয়েছে, আরও জায়গার নাম পরিবর্তন করা উচিত। তাঁর কটাক্ষ, “যার মনে দাসত্বের মানসিকতা, সে কখনও নামের মাহাত্ম্য বুঝবে না।”কেশব প্রসাদ মৌর্য কল্যাণ সিং-এর নামে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি তোলেন।
তাঁর বক্তব্য, বিজেপি ২০২৭ সালেও ২০১৭ সালের মতোই পুনরায় উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসবে।সবশেষে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “কল্যাণ সিং কোনও ব্যক্তি বা নেতা নন, তিনি এক ভাবনা, এক আদর্শ। আজ দিল্লিতে মোদি ও উত্তরপ্রদেশে যোগী—তাঁদের নেতৃত্বেই কল্যাণ সিং-এর আদর্শ এগিয়ে চলেছে। এটাই তাঁকে প্রকৃত শ্রদ্ধাঞ্জলি।”
