29 C
Kolkata
June 25, 2025
বাংলাদেশ

ফের ছাত্র আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ ঢাকা

ফাইল চিত্র

‘বৈষম্যহীন’ বাংলাদেশে এবার সরাসরি সংঘর্ষে জড়াল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সাতটি কলেজের পড়ুয়ারা। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে ছয় মাসের মধ্যেই পট পরিবর্তন হয়ে গেল বাংলাদেশে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর দুর্ব্যবহার করেছেন, এই অভিযোগে মিছিল শুরু করেন সাতটি কলেজের পড়ুয়ারা। পাল্টা রাস্তায় নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও। রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকার নীলক্ষেত রোড, নিউ মার্কেট, সায়েন্স ল্যাব মোড়ের মতো এলাকা। কলেজ ছাত্রীদেরও মিছিল করতে দেখা যায়।

বেশ কয়েকদিন ধরেই ঢাকার ৭ টি কলেজের শাসন দাবি করে আসছিল ছাত্ররা। তাঁদের বক্তব্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকায় কলেজের শিক্ষার মান কমে যাচ্ছে। রবিবার সন্ধ্যায় ৭ কলেজের কয়েকশো শিক্ষার্থী ৫ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য মামুন আহমেদের কাছে স্মারকলিপি দিতে গেলে তিনি দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। এর জেরে রাতভর দফায় দফায় ছাত্র সংঘর্ষের জেরে ঢাকার জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত। 

বিক্ষোভকারীদের উপরে হামলা, উত্তেজনা। পাল্টা ইউনূস সরকারকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা প্রকাশ্যে তাঁর ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন। তাতে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ঢাকার নীলখেত, পলাশির মতো এলাকার রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে পড়েছিল ছাত্র বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ, বিজিবি নামানো হয়।

সোমবার সকালেই আন্দোলনকারীরা হুমকি দিয়েছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য মামুন আহমেদের পদত্যাগ সহ ৬ দাবি পূরণ করতে হবে। এর জন্য ৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। দাবি পূরণ না হলে, আরও চরম পথে এগোবে বলেই হুঁশিয়ারি ছাত্রদের।

অশান্তি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ-বিজিবি-সেনার যৌথ বাহিনী। এমনকী  উপাচার্য, সহ-উপাচার্যদের বাংলো নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। পড়ুয়াদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।  রবিবার রাতভর পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় সোমবার বাধ্য হয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত ৭টি কলেজের ক্লাস, পরীক্ষা সবই স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে ।

Related posts

Leave a Comment