দ্বিতীয় বার ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হয়ে হোয়াইট হাউসে প্রবেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নাগরিকত্ব সংক্রান্ত ১৫৬ বছরের পুরনো আইন বদলানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দেন। গত ২১ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত এক সরকারি নির্দেশনামায় সই করেছিলেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে বলা হয়েছে, সেখানে জন্ম নেওয়া প্রতিটি শিশুকে স্বাভাবিক ভাবে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সেই শিশুর মা-বাবা অন্য দেশের নাগরিক হলেও সে জন্মসূত্রে আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে। ১৮৬৮ সালে ১৪তম সংশোধনীতে এই জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিষয়টিকে আমেরিকার সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত বহু ভারতীয়ই কর্মসূত্রে আমেরিকায় পাড়ি দেন। এইচ-১বি ভিসা নিয়ে মার্কিন মুলুকেই বাস করেন তাঁরা। এমনকি, বিয়ের পর সেখানেই পাকাপাকি ভাবে থাকার পরিকল্পনাও করেন। সে দেশের আইন অনুযায়ী, আমেরিকায় যদি কোন সন্তানের জন্ম হয়, তবে সে জন্মসূত্রেই নাগরিকত্ব পেয়ে থাকে! অনেক দম্পতিই চাইছেন, মার্কিন মুলুকে এই আইন বলবৎ হওয়ার আগেই সন্তানের জন্মের। অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা ঝুঁকছেন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তানপ্রসবের দিকে। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব ছাড়াও, এইচ-১বি ভিসা ধারণকারী সন্তানেরাও আইনি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন।
তবে আইনি জটিলতা কাটিয়ে যদি আমেরিকায় জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিলের নিয়ম কার্যকর হলে বিপদে পড়বেন হাজার হাজার ভারতীয়! মূলত আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয় দম্পতি, যাঁরা সন্তান নেওয়ার কথা ভাবছেন বা যাঁদের সন্তান আগমীদিনে পৃথিবীতে আসতে চলেছে তাঁরাই সমস্যায় পড়বেন বলে অনেকে মনে করছেন। আমেরিকায় দ্বিতীয় বৃহত্তম অভিবাসী গোষ্ঠী ভারতীয়। আমেরিকায় পাঁচ লক্ষের বেশি লোকের কাছে অনভিবাসী (নন-ইমিগ্র্যান্ট) ভিসা রয়েছে। নতুন নিয়ম কার্যকর হলে, তাঁরা বিপদে পড়তে পারেন।
বলা হয়েছে, আমেরিকায় জন্মসূত্রে আর নাগরিকত্ব পাবে না সেখানে বসবাসকারী অভিবাসীদের সন্তানরা। যদিও এই বিষয়ে মামলা পরে আদালতে পৌঁছয়। বর্তমানে আইনি জটে আটকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিলের ভাবনা।
next post