পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার দুর্গাপুরে দ্বিতীয় বর্ষের এক মেডিকেল শিক্ষার্থীর ওপর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় নিন্দা জানান। ঘটনাটিকে “অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়” বলে বর্ণনা করেন তিনি এবং জানান, তাঁর সরকার এমন অপরাধের ক্ষেত্রে শূন্য সহনশীলতার নীতি মেনে চলে।ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা ওই ছাত্রীটি শুক্রবার রাতে এক বন্ধুর সঙ্গে ডিনারে বেরিয়ে পড়েন। তখনই কলেজের বাইরের এলাকায় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং পুলিশের কাছে নিজের জবানবন্দি দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, “মেয়েদের রাতে বাইরে যেতে দেওয়া ঠিক নয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সরকারকে দোষারোপ নয়।”
এই বক্তব্যের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ এখন ধর্ষক ও অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে।”
বিজেপি নেতা অমিত মালব্য সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “দুর্গাপুরে জনরোষ ফেটে পড়েছে। সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ।”অন্যদিকে, নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, মেয়েকে আর পশ্চিমবঙ্গে রাখতে চান না। 
তিনি বলেন, “আমার মেয়ে যন্ত্রণায় বিছানায়, হাঁটতেও পারছে না। এখানে তার নিরাপত্তা নেই। ওড়িশায় নিয়ে গিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে।”এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। নাগরিক মহল মনে করছে, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য শুধু দোষীদের নয়, বরং নারীদের ওপর দায় চাপানোর এক পুরোনো ধারা ফের তুলে আনল।

