এবার দুর্গাপুজো কমিটিগুলির অনুদান ৮৫ হাজার থেকে এক ধাক্কায় বেড়ে হল ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে পুজো কমিটিগুলির বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘোষণা করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি পুজো প্যান্ডেলের বিদ্যুৎ খরচ ৮০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় বেজায় খুশি হয়েছেন পুজো কমিটির কর্তারা।
কিন্তু সকলের মনে প্রশ্ন, কেন মুখ্যমন্ত্রী এক ধাক্কায় পুজো কমিটির খরচ ৮৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করলেন? তিনি তো এবার পুরোপুরি এক লক্ষ টাকা অনুদানের কথা ঘোষণা করলেই রাজ্যবাসী খুশি হয়ে যেতেন, সেখানে এক ধাক্কায় ২৫ হাজার টাকা বাড়াতে গেলেন কেন? এ ব্যাপারে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের ধারনা, সামনেই বিধানসভা ভোট। তাই দেশজুড়ে এসআইআর এবং বাংলাদেশ অনুপ্রবেশকারী নিয়ে যখন বিতর্ক চলছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী আর ঝুঁকি নিতে রাজি নন। রাজ্যে হিন্দু ভোটের শতকরা হার বাড়ানোই তাঁর এখন মূল উদ্দেশ্য।
কারণ, একবার এসআইআর প্রযোজ্য হলে এক লহমায় রাজ্যের প্রায় এক কোটি ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই ভোটের একটি বড় অংশ সংখ্যালঘু মুসলিম ভোট, যেটি তৃণমূলের একটি বড় ভোট ব্যাঙ্ক। সেই ভোট বাদ গেলে মুখ্যমন্ত্রীর এবার আর ক্ষমতায় ফেরা সম্ভাবনা নেই। সেজন্য একমাত্র অস্ত্র সিংহভাগ হিন্দু ভোটে ভাগ বসানো। আর সেজন্যই তিনি রাজ্যবাসীকে খুশি করতে পুজো কমিটিগুলির অনুদান এক ধাক্কায় ২৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন। ছাড় দিয়েছেন বিদ্যুৎ বিলেও।
