কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৃহস্পতিবার মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন আরোপের অনুমোদনের জন্য লোকসভায় একটি বিধিবদ্ধ প্রস্তাব উত্থাপন করে বলেছেন যে কেন্দ্র উত্তর-পূর্ব রাজ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছে।
নিম্নকক্ষে প্রস্তাবটি পেশ করে মন্ত্রী বলেন, সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিরোধের বিষয়ে মণিপুর হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের কারণে রাজ্যে জাতিগত হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বলেন, সহিংসতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যার ফল।
শাহ সদনকে জানান যে, ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রায় চার মাস ধরে মণিপুরে কোনও হিংসা হয়নি এবং শিবিরগুলিতে খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসা সুবিধার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কারিগরি ও চিকিৎসা শিক্ষার জন্য অনলাইন ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং প্রাথমিক শিক্ষার জন্য ক্যাম্পের ভিতরে ক্লাস স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে তাদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, কোনও হিংসা হওয়া উচিত নয় এবং কোনও হিংসার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলকে যুক্ত করা উচিত নয়।
বিজেপির সমালোচনা করার জন্য কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, তারা এমন একটি চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করছে যেন মণিপুরে এটাই প্রথম হিংসা এবং আমাদের শাসন ব্যর্থ হয়েছে।
পূর্ববর্তী সরকারের শাসনামলে সংঘটিত 10 বছর, তিন বছর এবং ছয় মাসব্যাপী তিনটি প্রধান সহিংসতার ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন যে, এই সহিংসতার ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ তৎকালীন সরকারের কেউই এই অঞ্চলে আসেননি।
সরকার মণিপুরে হিংসা উপেক্ষা করেছে বলে বিরোধীদের অভিযোগের জবাবে শাহ সভায় জানান যে, যেদিন হাইকোর্টের আদেশ জারি করা হয়েছিল, সেদিনই বিমান বাহিনীর বিমানের মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনীর কোম্পানিগুলি এই অঞ্চলে পাঠানো হয়েছিল।
তিনি জোর দিয়েছিলেন যে এই বিষয়ে সকলের একই উদ্বেগ রয়েছে।
শাহ সমস্ত সদস্যদের এই বিষয়টিকে রাজনীতিকরণ না করার আহ্বান জানান কারণ সরকার মণিপুরে শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, সরকার পুনর্বাসন প্রচেষ্টা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষত নিরাময়ের পাশাপাশি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মণিপুরে শান্তি পুনরুদ্ধার করতে চায়।
পরে, প্রস্তাবটি লোকসভায় গৃহীত হয়। মণিপুরের সহিংসতায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা, সহানুভূতি ও গভীর শোক প্রকাশ করেছে সংসদ।
মণিপুরে যত দ্রুত সম্ভব শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য কেন্দ্র কাজ করছেঃ অমিত শাহ
