মালদহের কালিয়াচকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া আটকাতে ব্যর্থ হয়ে সীমান্ত নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ‘বিজিবি’। কালিয়াচকে কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে দুই দেশের উত্তাপ কমতে না কমতেই নতুন করে অশান্তি পাকাচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। এবারে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঝিনাইদহে ৫ কিলোমিটার ভূখণ্ডকে ‘ভারতের দখলমুক্ত’ করা হয়েছে বলে হঠাৎই দাবি করেছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। এই খবর আসতেই বিজিবির দাবিকে মিথ্যে বলে বিবৃতি দিয়েছে বিএসএফ। একই সঙ্গে ভারতীয় ভূখণ্ড সম্পূর্ণ সুরক্ষিত বলে বিবৃতি দিয়েছে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী।
বিএসএফের বক্তব্য, ওই এলাকাটি ভারতের দিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদাহ ব্লকের রাংঘাট গ্রামের কাছাকাছি, যা একটি আন্তর্জাতিক সীমান্ত। কোদালিয়া নদী থাকার কারণে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দুই পাশে রেফারেন্স পিলার ভালভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বহু বছর ধরে একইভাবে রয়েছে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী নিজেদের দায়িত্ব পালন করে থাকে। তার ওপর এলাকাটি কাঁটাতার বিহীন হওয়ায়, চোরাচালান এবং সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখন্ডে বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুপ্রবেশের ঝুঁকি থাকে সর্বদাই। বিএসএফ এই এলাকা থেকে আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশ ঠেকাতে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং তাঁদের চেষ্টাতেই এই এলাকা থেকে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা নগণ্য পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে এই ভুখন্ড নিয়ে বিজিবির দাবি মনগড়া বলে উড়িয়ে দিয়েছে বিএসএফ।
প্রসঙ্গত উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মাটিলা সীমান্ত ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে কোদলা নদী। এই নদীর পাঁচ কিলোমিটার অংশ নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ১৯৭৫ সালের সীমান্ত চুক্তি অনুসারে এটি ভারতীয় ভূখণ্ড হিসাবে বিবেচিত হয়। এর দখল নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে দু’দেশের মধ্যে চলেছে বিতর্ক। মঙ্গলবার বিজিবি-র এক আধিকারিক দাবি করেছেন এই এলাকাকে নাকি দখলমুক্ত করে বাংলাদেশের দখল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিবৃতিও প্রকাশ হওয়ার পর রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিলো। এরপরই বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে সীমান্ত এলাকা দখল করার যে খবরটি প্রকাশ করেছে তা সম্পূর্ণ দায়িত্ত্বজ্ঞানহীন। একই সঙ্গে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, ভারতীয় ভূখণ্ড সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রয়েছে।
							previous post
						
						
					
