মহারাষ্টের উমরেড করন্ডলা অভয়ারণ্যে সম্প্রতি একটি বাঘিনী এবং তার ৫ শাবকের পথ আটকানোর অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় বনদপ্তর জিপসি গাড়ির চালক এবং গাইডদের আচরণ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে । অভয়ারণ্যের ভিতরে বাঘিনী ও তার শাবকদের পথ আটকানোর অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করল ভারতের বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ।
বিচারপতি নিতিন সাম্বরে এবং বিচারপতি ব্রুশালি ভি যোশীর বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের বনদপ্তরের প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে গাফিলতি রয়েছে। এই দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, মনে হচ্ছে সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও এবং সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখে বনদপ্তর এ বিষয়ে জানতে পেরেছে। তারপরে জিপসি–র চালক এবং গাইডদের শাস্তির নির্দেশে বদল করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ঘটনার সঠিক বিবরণ দিয়ে হলফনামা আকারে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন মুখ্য বন সংরক্ষক। আদালতের নির্দেশ, ওই বাধিনী এবং তার শাবকরা অভয়ারণ্যের যে অঞ্চলে রয়েছে সেখানে সাধারণ পর্যটকদের যাওয়া আপাতত নিষিদ্ধ করতে হবে। বাঘিনী ও শাবকদের সুরক্ষার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তাও জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ২০ জানুয়ারি এর পরবর্তী শুনানি।
অভিযোগ, গত ৩১ ডিসেম্বর জিপসি গাড়িতে থাকা কিছু পর্যটক ওই বাঘিনীর পথ আটকান। সেই ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একটি মারাঠি সংবাদ মাধ্যমেও এই অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অভিযোগ করা হয়েছে, বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষার জন্য যে নিয়ম মানা প্রয়োজন তা সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়। এই আচরণের জন্য বাঘিনী এবং তার শাবকদের কষ্টও হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
আইনের খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ সূত্রে খবর, ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর প্রথমে এই খবরে তেমন গুরুত্ব দেননি। সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তিি চালক এবং গাইডদের ৭ দিনের জন্য সাসপেন্ড করেন। পরে অবশ্য শাস্তি বৃদ্ধি হয়। সাসপেন্ডের মেয়াদ ৩ মাস বাড়ানো হয় এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
previous post