সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) নিয়ে বৃহস্পতিবার হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। প্রশ্নোত্তর পর্বে এই বিষয়টি নিয়ে প্রবল হট্টগোলের পর বিজেপি বিধায়কেরা ওয়াকআউট করেন।বিষয়টি প্রথমে তোলেন বিজেপি বিধায়ক সৎপাল সিং সত্তি। তিনি অভিযোগ করেন যে ১১ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা এখনো বকেয়া রয়েছে এবং জানতে চান কবে তা দেওয়া হবে।প্রধানমন্ত্রী সুকভিন্দর সিং সুখু জবাবে বলেন, কর্মচারীদের ডিএ দেওয়া সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য, তবে রাজ্যের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধের অনুমতি দিচ্ছে না। তিনি আশ্বাস দেন যে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হলে কিস্তি শিগগিরই মুক্তি দেওয়া হবে।তবে বিজেপি বিধায়ক বিক্রম ঠাকুর মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করে বলেন, বাজেট বক্তৃতাতেই সুখু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে মে মাসে ডিএ দেওয়া হবে। তিনি সরকারকে কর্মচারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ তোলেন।
প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করেন, বাজেট এবং লিখিত উত্তরে তিনি ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যে ডিএ ঘোষণামতোই দেওয়া হবে। তিনি বলেন, পুরনো পেনশন স্কিম (OPS) কার্যকর করার পর কেন্দ্র একাধিক আর্থিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, যার ফলে তিন বছরে প্রায় ৪,৮০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সাথেও আলোচনা করেছেন, তবে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে OPS চালু থাকা অবস্থায় নীতিতে কোনও পরিবর্তন হবে না।বিরোধী নেতা জয় রাম ঠাকুর অভিযোগ করেন, কংগ্রেস সরকার কর্মচারীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে।
তাঁর দাবি, বিজেপি সরকার কর্মচারীদের আশ্বাস দিয়েছিল যে OPS পুনরুদ্ধারের উপায় খোঁজা হচ্ছে, অথচ কংগ্রেস ভোটে জিতে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই OPS কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবুও তারা ডিএ দেওয়া ও চিকিৎসা বিল মেটানোর মতো মৌলিক কাজ করছে না।জবাবে সুখু বলেন, পূর্ববর্তী বিজেপি সরকার যে ১১ শতাংশ বকেয়া ডিএ দেয়নি, বর্তমান সরকার সেটিই প্রথমে মিটিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, আগের সরকার নতুন বেতন কমিশন কার্যকর করলেও ১০,০০০ কোটি টাকার বকেয়া রেখে গেছে। সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকার থেকে রাজ্য ১১,০০০ কোটি টাকার ঘাটতি অনুদান পেয়েছিল, যা এখন নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩,২০০ কোটিতে।তিনি জানান, ধাপে ধাপে বকেয়া পরিশোধ করা হচ্ছে এবং ইতিমধ্যেই ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে পেনশনভোগীদের অর্থ দেওয়া হয়েছে।
তবুও বিজেপি বিধায়কেরা অসন্তুষ্ট থেকে স্লোগান দিতে দিতে অধিবেশনের ওয়েলে নেমে আসেন। স্পিকার কুলদীপ সিং পাঠানিয়া বারবার শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানালেও শেষ পর্যন্ত বিরোধী পক্ষের ওয়াকআউটে অধিবেশনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
previous post
