নয়াদিল্লি, ২৫ নভেম্বর ২০২৫ — বিহারে বড় জয়ের পর বিজেপি আসন্ন পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম বিধানসভা নির্বাচনে একই কৌশল—‘বিহার মডেল’—প্রয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বুথ-স্তরের সংগঠন মজবুত করা, ভোটার টার্গেটিং আরও আক্রমণাত্মক করা এবং সামাজিক আউটরিচ বাড়ানো—এই তিন দিকেই জোর দিচ্ছে নেতৃত্ব। আগামী ২৬ নভেম্বর একটি বিশেষ আলোচনাসভায় বিহার প্রচারে যুক্ত নেতারা তাঁদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন। সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই দুই রাজ্যের জন্য পরবর্তী নির্বাচনী ব্লুপ্রিন্ট তৈরি হবে।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করছে, বিহারের সাফল্য দলের থামতে-না-জানা সংগঠনগত শক্তির প্রমাণ, যা পূর্বাঞ্চলের দুই রাজ্যেও ভোট-আকর্ষণে বড় ভূমিকা রাখবে। তবে তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছে, বিহার ও বাংলার রাজনৈতিক বাস্তবতা আলাদা; তাই ‘বিহার মডেল’ বাংলায় কার্যকর হবে—এমন ধারণা ভুল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও বলছেন, বিহারের সফলতা বিজেপিকে উৎসাহ দিলেও পশ্চিমবঙ্গের জটিল সামাজিক-রাজনৈতিক সমীকরণে একই কৌশল কতটা কার্যকর হবে, তা এখনই বলা কঠিন। আসামেও আঞ্চলিক দলগুলোর প্রভাব ও স্থানীয় ইস্যুগুলো বিজেপির জন্য আলাদা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সব মিলিয়ে, বিজেপি দুই রাজ্যে যুদ্ধকৌশল সাজাতে বিহারের অভিজ্ঞতাকে সামনে আনলেও বাস্তব ফল নির্ভর করবে রাজ্যভিত্তিক ইস্যু ও রাজনৈতিক আবহের ওপর।
