October 31, 2025
দেশ

কংগ্রেস-আরজেডি’র কারণে বিহারের মর্যাদা ও পরিচয় আজ বিপন্ন: মোদী

পূর্ণিয়া, ১৫ সেপ্টেম্বর: বিহারের সীমাঞ্চলকে ঘিরে ফের সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার পূর্ণিয়ায় এক জনসভায় কংগ্রেস ও আরজেডি-কে কড়া আক্রমণ করে তিনি অভিযোগ করেন, অবারিত অনুপ্রবেশের ফলে সীমাঞ্চল অঞ্চলের জনসংখ্যাগত ভারসাম্য দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে।

তাঁর দাবি, কংগ্রেস-আরজেডি ও তাদের মিত্ররা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের “আটকানোর বদলে নির্লজ্জভাবে রক্ষা করছে, এমনকি বিদেশিদের সমর্থনে স্লোগানও দিচ্ছে।”

মোদী বলেন, “কেবল বিহারের মর্যাদাই নয়, কংগ্রেস-আরজেডির কারণে রাজ্যের পরিচয়ও হুমকির মুখে। সীমাঞ্চল ও পূর্ব ভারতের সামনে ভয়াবহ জনসংখ্যাগত সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। এই মাটি থেকে আমি ঘোষণা করছি— প্রত্যেক অনুপ্রবেশকারীকে দেশ ছাড়তে হবে।”

এটি চলতি বছরে মোদীর সপ্তম বিহার সফর। নজর মূলত মুসলিম-প্রধান সীমাঞ্চল অঞ্চলের ২৪টি আসনের দিকে। এই অঞ্চলের মধ্যে কিশনগঞ্জে মুসলিম ভোটারের সংখ্যা ৬৮ শতাংশ, কাটিহারে ৪৪ শতাংশ, আরারিয়ায় ৪৩ শতাংশ এবং পূরণিয়ায় ৩৮ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, কংগ্রেস-আরজেডির “দীর্ঘকালীন কুশাসনে” সীমাঞ্চল পিছিয়ে পড়েছিল। কিন্তু এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই উন্নয়নকাজে এই অঞ্চল অগ্রাধিকার পাচ্ছে। তিনি জানান, এদিনই প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার রেল, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ ও জলসংক্রান্ত প্রকল্প উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন তিনি।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পূর্ণিয়া বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধন।

পাশাপাশি চালু করা হয়েছে জাতীয় মাখনা বোর্ড, যা দেশের ৯০ শতাংশ মাখনা উৎপাদনকারী বিহারের হাজার হাজার কৃষকের উপকারে আসবে। এই খাতের উন্নয়নে ইতিমধ্যেই ৪৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে জানান মোদী।

নারী ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে তিনি প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের “জীবিকা দিদি” প্রকল্পের। এই কর্মসূচিকে শক্তিশালী করতে কেন্দ্রীয় সরকার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

নীতীশ কুমারও এদিন welfare measures তুলে ধরে জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যেই ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি ও ৩৯ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ভোটের আগেই এই সংখ্যা ৫০ লক্ষ ছাড়াবে। আগামী পাঁচ বছরে ১ কোটি যুবক-যুবতীকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

একই সঙ্গে তিনি জোট রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, “কিছু বিভ্রান্তি হয়েছিল। সবকিছু ভুল পথে যাচ্ছিল। আমি তা থেকে বেরিয়ে এসেছি। এখন আর কোনও মহাগঠবন্ধনের (INDIA Alliance) সঙ্গে ফেরার প্রশ্নই নেই।”

Related posts

Leave a Comment