October 31, 2025
দেশ

বাংলা নিউজ স্টোরি (বিস্তারিত ও আকর্ষণীয়):

পাটনা, ২০ অক্টোবর: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই উত্তেজনা তুঙ্গে উঠছে রাজ্যজুড়ে। ১৪ নভেম্বরের ফলাফলকে সামনে রেখে এখন প্রশ্ন— ‘কার দীপাবলি জ্বলবে, আর কার হবে দিওয়ালা?’ রাজনৈতিক মহলে এই প্রবাদবাক্যই প্রতীক হয়ে উঠেছে ক্ষমতার ভবিষ্যৎ লড়াইয়ের।দীপাবলি যেমন আলোর জয়, আশার প্রতীক—তেমনই এই নির্বাচন-পরবর্তী উদযাপনও হবে বিজয়ীর রাজনৈতিক পুনর্জন্ম ও উদ্দীপনার দিন।

বিপরীতে “দিওয়ালা”—অর্থাৎ আলো নিভে যাওয়ার ইঙ্গিত—যে শিবির হেরে যাবে সেখানে নেমে আসবে হতাশা, ব্যর্থতা ও নেতৃত্ব সংকটের ছায়া।শাসকজোট এনডিএ উন্নয়ন, সুশাসন, অবকাঠামো উন্নতি এবং কল্যাণমূলক কর্মসূচির ধারাবাহিকতা—এই চার সূত্র ধরে ভোটে নেমেছে। তাদের দাবি, বিহার স্থিতিশীলতার এক নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং সেই যাত্রা অব্যাহত রাখতেই প্রয়োজন নতুন ম্যান্ডেট। “উন্নয়নের দীপাবলি”—এই বার্তাই সামনে রেখে ভোটারদের টানছে তারা।

অন্যদিকে মহাগঠবন্ধন বদলের ডাক নিয়ে নেমেছে ময়দানে। বেকারত্ব, সামাজিক ন্যায়, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং ‘অসাম্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ’—এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে তারা ভোটারদের সামনে নিজেদের বিকল্প পথ তুলে ধরেছে। তাদের লক্ষ্য—কাস্ট ভিত্তিক বাস্তবতা ও তৃণমূল ক্ষোভকে সংঘবদ্ধ করে শাসকবিরোধী ভোটকে একত্র করা।

বিহারের ভোট-সমীকরণ বরাবরই বহুস্তরীয়—জাতি-গোষ্ঠী, আঞ্চলিক পরিচয়, সরকারি সুবিধার প্রাপ্যতা, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য, ও শিক্ষার সুযোগ—সবকিছু মিলেই নাড়ি টের পাওয়া যায় ভোটবাক্সে। তাই এই নির্বাচন শুধু রাজনৈতিক পালাবদল নয়, রাজ্যের বাস্তব উন্নয়ন চাহিদারও এক বড় পরীক্ষার মঞ্চ।ফলত, ১৪ নভেম্বরের রায় শুধু কারুর জয়-পরাজয়ের হিসেব নয়, বরং বিহারের সামাজিক মনোভাব ও নতুন দিশার প্রতিফলন।

কে জ্বালাবে দীপাবলির আলো—এনডিএ? নাকি মহাগঠবন্ধন? আর কার নিভবে আলোর প্রদীপ?
এই উত্তরই নির্ধারণ করবে বিহারের ভবিষ্যৎ পথচলার গতি ও নেতৃত্বের চরিত্র।

Related posts

Leave a Comment