নতুন দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের উদ্যোগে ন্যাশনাল ক্রাফ্টস মিউজিয়ামে শুরু হলো প্রথম জামদানি প্রদর্শনী। এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ির নকশা ও শৈল্পিক কারুকার্যের অসাধারণ নমুনা তুলে ধরা হচ্ছে। প্রদর্শনীটি চলবে ২৩শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।প্রদর্শনীটি কিউরেট করেছেন ভারতের খ্যাতনামা কারুশিল্প ও টেক্সটাইল বিশেষজ্ঞ চন্দ্রশেখর ভেদা।
এখানে বাংলাদেশের নামী তাঁতিদের বোনা জামদানির পাশাপাশি রয়েছে দু’টি দুর্লভ ১৫০ বছরের পুরনো জামদানি।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভেদা বলেন, “জামদানি কোনো যন্ত্রে তৈরি করা যায় না। এর স্বচ্ছতা ও কোমলতা যেন বাতাসে ভেসে থাকা এক জাদু।”বাংলাদেশের কারুশিল্প পুনর্জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ চন্দ্রশেখর সাহা বলেন, “একসময় বাংলার মসলিন ছিল বিশ্বসেরা। জামদানি সেই ধারারই উত্তরাধিকার — এটি দেখা ও অনুভব করার মতো এক শিল্প।”ভারতের ডিজাইন ও সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত ডিজাইনার সুনীতা কোহলি জামদানিকে বর্ণনা করেন “woven air” বা “বোনা বাতাস” হিসেবে। তিনি বলেন, “UNESCO একে অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, আমি বলি এটি অমূল্য বিলাসিতা।”চলচ্চিত্র নির্মাতা ও ডিজাইনার মুজাফফর আলি জামদানিকে আখ্যা দেন “আলো ও টেক্সচারের এমন এক সৌন্দর্য, যা জাতিকে একত্র করতে পারে।”বাংলাদেশের হাই কমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ জানান, স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে জামদানি প্রদর্শনের সময় যে সাড়া পাওয়া গিয়েছিল, তার ফলেই এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।এছাড়াও, বাংলাদেশ থেকে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত জামদানি তাঁতি মোহাম্মদ জামাল হোসেন ও মোহাম্মদ সাজীব সরাসরি উপস্থিত থেকে প্রদর্শনীতে জামদানি বুননের প্রক্রিয়া দেখাচ্ছেন।
