তৃণমূলের মহিলা কর্মীদের নিয়ে আয়োজিত সভায় ব্লকের নতুন মহিলা সভানেত্রী ও সহ সভানেত্রীর নাম ঘোষণা করলেন ব্লক সভাপতি, আর তা নিয়েই শুরু হল নতুন বিতর্ক। সিউড়ি ২ ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি এখন সম্পূর্ণ প্রকাশিত। ব্লক সভাপতির সমস্ত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই প্রশ্ন তুলছেন ব্লক সভাপতির বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা। অন্যদিকে বিরোধী গোষ্ঠীর বক্তব্যকে পাত্তা দিতেই নারাজ ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের মহিলা কর্মীদের জন্য ঘোষিত দলের নতুন কর্মসূচি ‘তোমার ঠিকানা, উন্নয়নের নিশানা, দিদি মহিলাদের সাথে, মহিলাদের পাশে’কে সফল করতে শুক্রবার সিউড়ি ২ ব্লকের তৃণমূল মহিলা সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করেন নুরুল ইসলাম। সেই বৈঠক থেকেই ব্লকের নতুন মহিলা সভানেত্রী ও সহ সভানেত্রীর নামও ঘোষণা করেন তিনি। ব্লকের মহিলা সভানেত্রী চিন্তা বাগদির মৃত্যুর পর সিউড়ি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রুপা সাহাকে ব্লকের নতুন মহিলা সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে স্বাতী মুখোপাধ্যায়কে নতুন সহ সভানেত্রীর দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। নুরুল জানান, আগামী দিনে দলের মহিলা সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচিকে সফল করতে ব্লকের মহিলা সভানেত্রীর পদ ফাঁকা থাকায় সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও পরবর্তীতে নুরুল জানান, এই নামগুলি তাঁরা প্রস্তাব আকারে ঘোষণা করেছেন, নাম অনুমোদনের জন্য জেলা ও রাজ্য স্তরে পাঠানো হয়েছে।
যদিও প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে এভাবে নাম ঘোষণার বিষয়টিকে তাঁরা কোনওভাবেই মেনে নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন ব্লকের কার্যকরী সভাপতি অশ্বিনী মণ্ডল। তিনি বলেন, “একটা সিদ্ধান্ত নিতে গেলে বা প্রস্তাব আকারে পাঠাতে গেলে একটা নিয়ম মানতে হয়, কিন্তু এক্ষেত্রে তা মানা হয়নি৷ এই ব্লক যিনি পরিচালনা করছেন, তিনি রাজার মতো একক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।” অশ্বিনী জানান, ব্লকের ৬টি পঞ্চায়েতের মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী বা ব্লক থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্যাকে বাদ দিয়েই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন নুরুল। দলের অঞ্চল সভাপতিদের সঙ্গেও তিনি আলোচনা করেননি বলে অভিযোগ করেন অশ্বিনী।