রাইটার্স বিল্ডিংয়ের সামনে বিপজ্জনকভাবে মোড় নেওয়ার অভিযোগে সেনার একটি ট্রাককে আটকায় কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনাকে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। যদিও সেনার দাবি, ট্রাক কোনওভাবেই বেপরোয়া গতিতে চালানো হচ্ছিল না। ঘটনার পর কলকাতা পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে।
সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখা গেল
ভিডিয়োতে দেখা যায়, সেনার ট্রাকটি সামনে, আর তার ঠিক পিছনেই আসছিল কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার গাড়ি, যিনি লালবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পুলিশের অভিযোগ, ট্রাকটি হঠাৎ ডানদিকে বিপজ্জনকভাবে ঘুরে যায়। এতে কমিশনারের গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়তে পারত। আরও অভিযোগ, ওই মোড়ে স্পষ্টভাবে ‘নো রাইট টার্ন’ বোর্ড থাকলেও ট্রাকটি নিয়ম ভেঙে ডানদিকে মোড় নেয়। তখনই কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ গাড়িটি আটকায় এবং খবর যায় হেয়ার স্ট্রিট থানায়।
সেনার প্রতিক্রিয়া
ট্রাকে থাকা এক সেনাকর্মী অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, সিগন্যাল খোলা থাকায় তারা মোড় নিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি জানান, পুলিশ কমিশনারের গাড়ি পিছনে আসছে তা তাঁদের জানা ছিল না।
পরিস্থিতি মোকাবিলা
ঘটনার পর পুলিশ ও সেনার ঊর্ধ্বতন কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেনার ইস্টার্ন কমান্ড ফোর্ট উইলিয়াম থেকেও অফিসাররা হাজির হন। আপাতত ট্রাকটিকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় রাখা হয়েছে এবং সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে।
রাজনৈতিক পটভূমি
এই ঘটনা ঘটে মাত্র একদিন পর, যখন ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে তৃণমূল কংগ্রেসের তৈরি প্রতিবাদ মঞ্চ সরিয়ে দেয় সেনা। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি সেনাকে আক্রমণ না করে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। তাঁর বক্তব্য, “আমার আর্মির বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই। কারণ আমরা সেনাকে নিয়ে গর্বিত। কিন্তু সেনাকে যখন বিজেপির কথায় চলতে হয়, তখন দেশ কোথায় যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।”
ফলে মঞ্চ সরানো বিতর্কের ঠিক পরদিনই সেনার ট্রাক আটকানোকে ঘিরে নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হলো লালবাজার ও ফোর্ট উইলিয়ামের মধ্যে।

