বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন।এমন অবস্থায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে মালদার অস্ত্র কারবারীরা। পুলিশের তথ্যে জেলা জুড়ে অস্ত্র ভান্ডারে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। যা রীতিমত উদ্বেগজনক নির্বাচনের প্রাককালে। গত ছয় মাসে পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী অস্ত্র আইনের মামলা হয়েছে 41টি গ্রেপ্তার হয়েছ 75জন। Arms উদ্ধার হয়েছে 71টি। Animation 124 ও Magazine – 16টি উদ্ধার হয়েছে।
একের পর এক বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারে রীতিমত নির্বাচনের পূর্বে জেলার রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। জেলার আইন শৃঙ্খলা প্রশ্নের মুখে। যদিও মালদা জেলারষপুলিশ সুপারের দাবী পুলিশের অভিযান বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে অস্ত্র কারবারীদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারে সফলতা এসেছে। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে মালদায় বেশিরভাগ বেআইনি অস্ত্র ঢুকছে বিহার ও ঝাড়খন্ড থেকে। মালদা জেলার একদিকে বিহার, অন্যদিকে ঝাড়খন্ড রাজ্যের সীমান্ত। পাশাপাশি জেলায় বড় অংশে রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত। অবস্থানগত এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে বেআইনি অস্ত্র কারবারের ঘাঁটি হয়ে উঠছে মালদা। জেলা পুলিশের হিসেবেই চলতি বছরে মালদায় উদ্ধার হয়েছে ৭০ টিরও বেশি বেআইনি অস্ত্র। এছাড়াও প্রচুর গুলি ও ম্যাগাজিন। বেআইনি অস্ত্রের রমরমা ভাবাচ্ছে পুলিশকে। আতঙ্কে জেলার ব্যবসায়ীরাও। সরব শাসক ও বিরোধী দুইপক্ষই।
গত ২ জানুয়ারি মালদার ইংরেজবাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় তৃণমূল কংগ্রেসেরর জেলার সহ সভাপতি তথা কাউন্সিলর দুলাল চন্দ্র সরকারকে। ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতিদের বিহার যোগ এবং ভিন্ন রাজ্য থেকে অস্ত্র আনার বিষয় তদন্তে উঠে আসে। এরপরেও একাধিক অপরাধে ব্যবহার হয়েছে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র। এরপর অস্ত্র উদ্ধারে শুরু হয় বাড়তি অভিযান। চলতি বছরে গত জুন মাস পর্যন্ত পুলিশের হিসেবে মালদায় অস্ত্র উদ্ধারের ৪১টি ঘটনা ঘটেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৭৫ জনকে। উদ্ধার হয়েছে ৭১টি আগ্নেয়াস্ত্র। ১২৪ রাউন্ড গুলি। আরও ১৬টি ম্যাগাজিন। সবচেয়ে বেশি উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে বৈষ্ণবনগর, কালিয়াচক, মানিকচক, ইংরেজবাজারে। অস্ত্র উদ্ধারে ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, মালদায় বেশিরভাগ অস্ত্র আসছে বিহারের মুঙ্গের আর পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকে। মিডিলম্যান ও ক্যারিয়ারদের মাধ্যমে আসছে এইসব আগ্নেয়াস্ত্র। প্রতিটি নাইন এমএম, ও সেভেন এমএম পিস্তল বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে এখন প্রশ্ন একটাই কবে এই অস্ত্র কারবার খুন-খারাবি কমবে সেই দিকে এখন তাকিয়ে মালদা জেলাবাসী।
previous post