শনিবার দ্বিতীয় জাতীয় মহাকাশ দিবস উপলক্ষে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা। ২০২৩ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছিল।
অমিত শাহ এক্স-এ লিখেছেন, “#NationalSpaceDay-তে, যখন আমরা স্মরণ করছি সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যখন চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছিল, তখন প্রতিটি ভারতীয় হৃদয় গর্বে ভরে ওঠে। আমাদের উজ্জ্বল বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন, যাদের অদম্য নিষ্ঠা এই সাফল্য সম্ভব করেছে।” তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এই মিশন ভারতের মহাকাশ অভিযানে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে এবং তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বার্তা দিয়েছেন, “জাতীয় মহাকাশ দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সাহস ও দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে কোনো স্বপ্নই অধরা নয়।
আমাদের বিজ্ঞানীদের কাছে কৃতজ্ঞ, যাঁরা ভরতকে আকাশছোঁয়া গৌরবে উজ্জ্বল করেছেন।” উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ চন্দ্রযান-৩-এর ঐতিহাসিক সফট ল্যান্ডিংকে “নতুন ভারতের মহাকাশ অভিযানের শিখরে পৌঁছনো” হিসেবে অভিহিত করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি বলেন, “আজ ভারতের গর্বের দিন। দু’বছর আগে এই দিনে আমাদের বিজ্ঞানীরা বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন চাঁদে চন্দ্রযান-৩ অবতরণ করিয়ে।”
প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব পি কে মিশ্র ন্যাশনাল স্পেস মিট ২.০-তে বক্তব্য রাখেন এবং বলেন, ভারতের মহাকাশ যাত্রা হচ্ছে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রতীক—যেখানে মন্ত্রক, রাজ্য, শিল্প, বিজ্ঞানী ও স্টার্টআপ সবাই অংশীদার। ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন যে ২৩ আগস্টকে প্রতি বছর জাতীয় মহাকাশ দিবস হিসেবে পালন করা হবে। এ বছর দিবসটির মূল ভাবনা—“আর্যভট্ট থেকে গগনযান: প্রাচীন প্রজ্ঞা থেকে অসীম সম্ভাবনা”, যা ভারতের বৈজ্ঞানিক ঐতিহ্য ও ভবিষ্যৎ মহাকাশ স্বপ্নের সমন্বয়কে প্রতিফলিত করে।
previous post
