নিউইয়র্ক, ২৪ সেপ্টেম্বর: বাণিজ্য নিয়ে টানাপোড়েন এবং এইচ-১বি ভিসা ফি বৃদ্ধির উদ্বেগের মাঝেই নিউইয়র্কে বৈঠক করলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। দুই দেশের সম্পর্ককে স্থিতিশীল করার চেষ্টার ইঙ্গিত মিলেছে এই সাক্ষাৎ থেকে।
জয়শঙ্কর এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) লিখেছেন, “আমাদের আলোচনা দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক নানা চলতি বিষয়কে কেন্দ্র করে হয়েছে। অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্রে অগ্রগতি আনতে নিয়মিত সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তায় আমরা একমত হয়েছি।”
এদিকে, দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার আরেক পদক্ষেপ হিসেবে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল নিউইয়র্কে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সূত্রের খবর, দুই পক্ষই প্রাথমিক একটি বাণিজ্য চুক্তি শিগগিরই চূড়ান্ত করার ব্যাপারে আশাবাদী।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে অনুষ্ঠিত জয়শঙ্কর-রুবিও বৈঠকে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্ব ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রতি উভয় পক্ষের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি সামনে আসে। বৈঠকে কোয়াডের মাধ্যমে একটি মুক্ত, উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন দুই নেতা।
সম্প্রতি বাণিজ্য শুল্ক এবং রাশিয়ার কাছ থেকে ভারতের তেল আমদানি নিয়ে দিল্লি-ওয়াশিংটনের সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়ে পড়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটে জয়শঙ্কর ও রুবিওর এই প্রথম মুখোমুখি বৈঠক বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
রুবিও ভারতের ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভারত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, ফার্মাসিউটিক্যালস, ক্রিটিক্যাল মিনারেলসসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের অব্যাহত সম্পৃক্ততার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই দেশই কোয়াড কাঠামোর আওতায় সহযোগিতা চালিয়ে যাবে যাতে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মুক্ত ও উন্মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়।

