মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন-এর সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি-কে নিয়ে একটি ত্রিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠক আয়োজন করতে চান। এই বৈঠক সম্ভবত ২২ আগস্ট অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে মার্কিন গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে।
জেলেনস্কি এক্স-এ (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে জানিয়েছেন, সোমবার তিনি ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদেরও সোমবারের এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস শনিবার বলেন, ট্রাম্প-জেলেনস্কির বৈঠকের পরেই ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের ফোনে প্রস্তাব দিয়েছেন, একটি শান্তিচুক্তির অধীনে ইউক্রেন ডনবাস অঞ্চলের বাকি অংশ রাশিয়াকে ছেড়ে দেবে। এর বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে এবং কিয়েভ ও ইউরোপের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়া হবে।
১৫ আগস্ট আলাস্কার এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসন সামরিক ঘাঁটিতে পুতিন ও ট্রাম্পের মধ্যে প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠক হয়। প্রথমে ট্রাম্পের লিমুজিনে একান্ত আলাপচারিতা, তারপর দুই দেশের সীমিত প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
রুশ প্রতিনিধিদলে ছিলেন ক্রেমলিন উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। মার্কিন দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।
বৈঠকের পর পুতিন জানান, আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল ইউক্রেন সংকট সমাধান। ট্রাম্প বৈঠককে “খুব ফলপ্রসূ” বলে আখ্যা দেন। পরে তিনি জেলেনস্কি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা, ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন-এর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।
ট্রাম্প জানান, ইউক্রেন ও রাশিয়ার এখন সরাসরি চূড়ান্ত শান্তিচুক্তির দিকে এগোনো উচিত। তিনি আরও বলেন, জেলেনস্কির সঙ্গে সোমবারের বৈঠক সফল হলে পুতিনের সঙ্গে আরেক দফা বৈঠক নির্ধারণ করা হবে।
