ডাক্তারখানা ঘিরে নতুন অধ্যায়
কলকাতা, ২০ মে: দাক্ষিণেশ্বর রামকৃষ্ণ সংঘ আদ্যাপীঠের (DRSA) চ্যারিটেবল ডিসপেনসারিতে আজ মঙ্গলবার এক অত্যাধুনিক আল্ট্রাসাউন্ড (USG) যন্ত্রের শুভ উদ্বোধন হল। সমাজের দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষদের আরও উন্নত ও সুলভ মূল্যর চিকিৎসা পরিষেবা দিতে এই নতুন যন্ত্র এক বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
LIC অফ ইন্ডিয়া, ইস্টার্ন জোন-এর সৌজন্যে প্রদান করা এই আধুনিক ফিলিপস ইউএসজি যন্ত্রটিতে একটি ইন-বিল্ট প্রিন্টারও যুক্ত রয়েছে। আজ সন্ধ্যায় আদ্যাপীঠের নবনির্মিত চিকিৎসা শাখার ভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যন্ত্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন LIC-এর ইস্টার্ন জোনের জোনাল ম্যানেজার শ্রী জে এস টোলিয়া, KSDO-র সিনিয়র ডিভিশনাল ম্যানেজার শ্রী এ কে দাস এবং ইস্টার্ন জোনের রিজিওনাল ম্যানেজার (CC) শ্রী এস সি দে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রহ্মচারী মুরাল ভাই মহারাজ, সংঘের সাধারণ সম্পাদক ও ট্রাস্টি। তিনি বলেন, “আমাদের পরিষেবার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রোগনির্ণয় পরীক্ষা, চিকিৎসা ও নিয়মিত গ্রামীণ মেডিকেল ক্যাম্প। এই সব কিছুই শ্রী রামকৃষ্ণদেবের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশিষ্ট আয়ুর্বেদ চিকিৎসক শ্রী শ্রী অন্নদা ঠাকুরের ভাবনায় পরিচালিত।” তিনি আরও জানান, “সংঘ একমাত্র ভক্তদের দান ও দাতব্য সংস্থাগুলির সহায়তার উপর নির্ভর করেই চলে।” সংঘের চিকিৎসা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান এবং DRSA এর সহ সম্পাদক ব্রহ্মচারী বিবেক ভাই বলেন, “পুরনো ইউএসজি যন্ত্রটি ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলার পর একেবারে অকেজো হয়ে পড়েছিল। বহু সংস্থাকে অনুরোধ জানিয়েও ফল মেলেনি। এই অবস্থায় LIC অফ ইন্ডিয়া এগিয়ে এসে Rs 28 লক্ষ মূল্যের ফিলিপস ইউএসজি যন্ত্রটি দান করে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই যন্ত্রের মাধ্যমে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য স্বল্পমূল্যে অত্যাবশ্যক রোগনির্ণয়ের কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা শুধুমাত্র উপকরণের খরচ ও আগত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সামান্য সম্মানীটুকু তুলে ধরার চেষ্টা করি। এই আধুনিক যন্ত্র আমাদের চিকিৎসা পরিষেবাকে আরও বিস্তৃত ও উন্নত করতে সাহায্য করবে।” মঙ্গলাচারন এবং স্ত্রোত্যপাঠের মধ্যে দিয়ে প্রদীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠান উদ্ধোধন করা হয়।এই অনুষ্ঠান কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব ও দাতব্য চিকিৎসা পরিষেবার এক সুন্দর সমন্বয়ের দৃষ্টান্ত তৈরি করল। দেশজুড়ে গ্রাসরুট স্তরে চিকিৎসা পরিষেবা টিকিয়ে রাখতে এমন সহযোগিতা যে কতটা জরুরি, তা আবারও প্রমাণিত হল।