সম্প্রতি দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানারকম কুৎসা রটানো হচ্ছে। বিশেষ করে তাঁর বিয়ের পর ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে নানারকম তীর্যক মন্তব্য করে তাঁকে দুশ্চরিত্র বলে দাগিয়ে দেওয়ার একটি চক্রান্তের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
বর্তমানে এ আই প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেক কিছুই সম্ভব।
সম্প্রতি বহু বিখ্যাত ব্যক্তিদের এমনকি বলিউডের নায়ক-নায়িকাদের নিয়ে এরকম ভিডিও বা ছবি সামাজিক মাধ্যমে আকচার ভেসে বেড়াচ্ছে। নির্বোধ ব্যক্তিরা ফেক এবং কাল্পনিক দৃশ্য গোগ্রাসে গিলছেন। আর বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা সেটাকে ফেক বুঝতে পেরে এড়িয়ে যাচ্ছেন। সলমন খান থেকে শুরু করে ঐশ্বর্য রায় বচ্চন, এমনকি অমিতাভ বচ্চনও নেটপাড়ার দুষ্কৃতীদের আক্রমণ থেকে রেহাই পাননি। সবচেয়ে জ্বলন্ত উদাহরণ– এ আই প্রযুক্তির মাধ্যমে সানিয়া মির্জার ডিভোর্সের পর তাঁর সঙ্গে মহম্মদ শামির কাল্পনিক ও ভুয়ো ঘনিষ্ঠ দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া।
প্রশ্ন হল, দিলীপ ঘোষ ভালো হোন বা মন্দ হোন একটি অযাচাইকৃত ভিডিওকে কেন্দ্র করে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে এভাবে বিতর্ক বাড়ানো কি সভ্য সমাজের কাজ?
বিষয়টি নিয়ে তিনটি প্রশ্ন কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ:
১. ভিডিওটিতে যাঁকে দেখা যাচ্ছে, তাঁকে দিলীপ ঘোষ বলে প্রমাণ করলেন কীভাবে?
২. যে গেরুয়া পোশাক পরা অবস্থায় যাঁকে দেখা যাচ্ছে, তিনি কি আদৌ দিলীপ ঘোষ, নাকি অন্য কাউকে গেরুয়া পোশাক পরিয়ে দিলীপ ঘোষ সাজানো হয়েছে? তাঁকে কালিমালিপ্ত করার জন্য?
৩. উনি যদি সত্যিই দিলীপ ঘোষ হয়ে থাকেন, তাহলে তা গোপনে ভিডিও রেকর্ড করা এবং সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া দুটোই আইনের চোখে জঘন্য অপরাধ। এ ব্যাপারে কেন্দ্র ও রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন কী করছে? তারা কি মুলো চুষছে? কারণ এই অপরাধীদের ধরা এবং এই ধরনের পোস্ট বন্ধ করা তাদেরই দায়িত্ব।
৪. এই ধরনের পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে কাদের রাজনৈতিক ফায়দা? রাজ্যের শাসকদল, নাকি বিজেপির দিলীপ-বিরোধী গোষ্ঠীর?

