December 6, 2025
দেশ

পুতিনের সফরকে ঘিরে প্রতিরক্ষা, জ্বালানি ও কূটনৈতিক সমীকরণে পরিবর্তনের সম্ভাবনায় দুই দেশের নজর আরও তীব্র হয়েছে।

নয়াদিল্লি, ২৩ নভেম্বর: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আসন্ন ভারত সফরকে কেন্দ্র করে দিল্লির কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে জোর জল্পনা। প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, ভূকৌশলগত অংশীদারিত্ব ও বহুপাক্ষিক ফোরামে সহযোগিতা—এই চার অক্ষরে দুই দেশের ভবিষ্যৎ সমীকরণ কতটা এগোবে, সেটিই এখন মূল প্রশ্ন। বিশেষত ইউক্রেন যুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক চাপ, রাশিয়ার এশিয়ামুখী কৌশল এবং ভারতের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের নীতি—সব মিলিয়ে এই সফরের গুরুত্ব বহুগুণ বেড়েছে।

কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে, সফরে সর্বাধিক অগ্রগতি হতে পারে দুই দেশের প্রতিরক্ষা উৎপাদন যৌথ উদ্যোগে। দীর্ঘদিন ধরে লম্বিত S-400 সরবরাহের গতি, Su-30 ও MiG-29 আপগ্রেড, ব্রহ্মোস রপ্তানি চুক্তি—এসব ক্ষেত্রেই আসতে পারে অগ্রগতি। একইসঙ্গে দ্বিপাক্ষিক মুদ্রা ব্যবস্থায় রুপি-রুবল নিষ্পত্তি আবার সক্রিয় করা হবে কি না তা এজেন্ডায় থাকতে পারে।

জ্বালানি খাতে, ভারত রাশিয়ার দীর্ঘমেয়াদি তেল ও LNG সরবরাহে স্থায়ী ছাড় চাইতে পারে। সাখালিন প্রকল্পে ভারতের অংশীদারিত্ব বাড়ানো এবং নতুন পারমাণবিক রিয়্যাক্টর নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল।

ভূকৌশলগতভাবে, আফগানিস্তান ও ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যুতে দুই দেশের অবস্থান জোড়া লাগানো এখনই সহজ নয়। তবে উভয়পক্ষই বহুমেরুবিশ্ব গড়ার পক্ষে, তাই BRICS ও SCO—এই দুই মঞ্চেই সমন্বয় বাড়ানো হবে বলে কূটনৈতিক মহলের ধারণা।
পুতিনের সফর শেষ পর্যন্ত কী এনে দেবে, তা সময় বলবে। তবে আন্তর্জাতিক অস্থিরতার ভিড়ে ভারত-রাশিয়া সমীকরণকে নতুন ছন্দে সাজানোর চেষ্টা যে জোরদার হচ্ছে, তাতে সন্দেহ নেই|

Related posts

Leave a Comment