দিল্লি: রাজধানী দিল্লির লালকেল্লা (রেড ফোর্ট) মেট্রো স্টেশনের গেট নম্বর ১-এর কাছে চলন্ত গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ২৪ জনের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার সন্ধ্যা ৬.৫২ মিনিটে এই বিস্ফোরণ ঘটে, জানায় দিল্লি পুলিশ।
পুলিশ কমিশনার সতীশ গোলচা জানিয়েছেন, ধীরে চলা একটি গাড়িতে হঠাৎই বিস্ফোরণ হয় এবং তার ধাক্কায় কাছাকাছি থাকা আরও তিনটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণের প্রকৃতি এখনও স্পষ্ট নয়।
ঘটনার পরেই দিল্লি পুলিশ, ফরেন্সিক টিম, এনআইএ, এনএসজি-সহ সমস্ত জরুরি পরিষেবা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এলাকাটি ঘিরে ফেলে শুরু হয়েছে ফরেন্সিক পরীক্ষা।
এলএনজেপি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেনডেন্ট জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে ১৫ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়। ‘হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই ৮ জন মারা যান। তিনজনের অবস্থা গুরুতর,’ বলেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের চোখে বিভীষিকা
এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, ‘আমরা এগিয়ে যেতেই রাস্তায় ছড়িয়ে থাকা দেহাংশ দেখতে পাই। কেউই বুঝতে পারছিল না কী হয়েছে।’আরেকজন বলেন, ‘এত জোরে শব্দ কোনওদিন শুনিনি। বিস্ফোরণে তিনবার মাটিতে পড়ে যাই। মনে হচ্ছিল সবাই মরে যাব।’
উচ্চ সতর্কতা জারি
বিস্ফোরণের পর দিল্লি, মুম্বই-সহ দেশের বিভিন্ন বড় শহরে হাই-অ্যালার্ট জারি হয়েছে। মেট্রো স্টেশনেও নিরাপত্তা বাড়িয়েছে ডিএমআরসি। তদন্তের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে জঙ্গি মডিউল তছনছের তথ্য এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ দাবি করে যে তারা একটি বড় আন্তঃরাজ্য “হোয়াইট-কলার” জঙ্গি মডিউল ভেঙে দিয়েছে। আটক ৮ জনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক তৈরির উপাদান, যার মধ্যে ৩৫০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটও রয়েছে।
তদন্তকারীদের প্রাথমিক আশঙ্কা— উত্তর ভারতে বড় জঙ্গি হামলার লক্ষ্য ছিল এই দলের। দিল্লি-এনসিআর-এ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়ানোও তাদের পরিকল্পনার অংশ ছিল বলে জানা গিয়েছে।
এনআইএ এবং দিল্লি পুলিশ এই দু’টি ঘটনার সম্ভাব্য যোগসূত্রও খতিয়ে দেখছে। তদন্ত চলছে, আরও তথ্য সামনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
