নতুন দিল্লি: গুরুতর বায়ুদূষণের মোকাবিলায় দিল্লি সরকার এবার ‘ক্লাউড সিডিং’-কে অপরিহার্য পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা। জাতীয় রাজধানীর শীতকালীন স্মগ পরিস্থিতি দিনে দিনে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে, আর সেই প্রেক্ষিতেই জরুরি ব্যবস্থার অংশ হিসেবে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বস্তি আনতে প্রাকৃতিক বৃষ্টির অপেক্ষা করা বাস্তবসম্মত নয়। মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রযুক্তিনির্ভর সমাধানে যেতে বাধ্য হচ্ছি। ক্লাউড সিডিং এখন বিলাসিতা নয়, বরং প্রয়োজনীয়তা।”
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি জানান, প্রযুক্তিগত সমীক্ষা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং মেঘের আর্দ্রতা পর্যাপ্ত থাকলে দ্রুতই ট্রায়াল রানের মাধ্যমে উদ্যোগ কার্যকর করা হবে। দিল্লি সরকারের পরিবেশ বিভাগও কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর ও বৈজ্ঞানিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে সমন্বয় করছে।
শহরের অধিকাংশ জেলাতেই ‘খুবই খারাপ’ থেকে ‘গুরুতর’ মানের AQI রেকর্ড হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীদের জন্য এই আবহাওয়া মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পাশাপাশি তাৎক্ষণিক স্বস্তির ব্যবস্থাও একইসঙ্গে চালু রাখতে হবে। ক্লাউড সিডিং সেই তাৎক্ষণিক পদক্ষেপগুলোর অন্যতম।” সরকার জানিয়েছে, প্রয়োজনে একাধিক ধাপে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।
previous post
