দিল্লি— আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (আইসিএও)-এর পরিষদের দ্বিতীয় ভাগে ফের নির্বাচিত হলো ভারত। রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই বিশেষায়িত সংস্থার ৪২তম অধিবেশন চলাকালীন ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ কানাডার মন্ট্রিয়লে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভারতের জন্য এ ফলাফল আসে।
পরিকাঠামো ও নেভিগেশনের সুবিধা প্রদানে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা দেশগুলিকেই এই দ্বিতীয় ভাগে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আগের বার ২০২২ সালের নির্বাচনের তুলনায় এবার ভারত আরও বেশি ভোট পেয়েছে, যা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ভারতের নেতৃত্ব ও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে দায়বদ্ধতার প্রতি আস্থার প্রতিফলন।নির্বাচনের আগে ২ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের জন্য বিশেষ সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল অসামরিক বিমান চলাচল দপ্তর। সেখানেই ভারতের প্রার্থী হিসেবে সমর্থন চেয়েছিলেন অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী রামমোহন নাইডু। 
পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রকের কূটনৈতিক প্রচারাভিযানও ভারতের পক্ষে ভোট আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। আইসিএও-র সদর দপ্তরে ভারতের প্রতিনিধি সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালান।মন্ট্রিয়ল সফরে মন্ত্রী নাইডু একাধিক দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং বৈশ্বিক বিমান শিল্পের বিভিন্ন অংশীদারের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল বিমান বাজারগুলির মধ্যে অন্যতম হওয়ায় ভারতের প্রতি আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলির আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। বিশেষত বিমান যন্ত্রাংশ উৎপাদন, মেরামত-রক্ষণাবেক্ষণ এবং দক্ষতা উন্নয়নে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করছে ভারত।
১৯৪৪ সালে আইসিএও-র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে যোগ দেওয়ার পর থেকে টানা ৮১ বছর ধরে এই পরিষদে ভারতের উপস্থিতি বজায় রয়েছে। আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচলের নিরাপত্তা, সুরক্ষা, টেকসই উন্নয়ন এবং সমন্বিত নীতি প্রণয়নে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।তিন বছর অন্তর আয়োজিত আইসিএও অধিবেশনেই সদস্য রাষ্ট্রগুলি ৩৬ সদস্যের পরিষদ নির্বাচন করে। ১৯৩টি সইকারী দেশের মধ্যে থেকে নির্বাচিত হয় এই পরিষদ।
২০২৫ থেকে ২০২৮ মেয়াদের জন্য ভারত জানিয়েছে, নিরাপত্তা ও টেকসই বিমান চলাচল জোরদার করা, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং আইসিএও-র ‘কোনও দেশ পিছিয়ে থাকবে না’ কর্মসূচিকে সমর্থন করা হবে তার প্রধান লক্ষ্য।

