সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে মানহানির মামলায় ফৌজদারি শাস্তি তুলে দেওয়ার সময় এসে গেছে। আদালতের এই পর্যবেক্ষণ ২০১৬ সালের রায়ের বিপরীতে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে মানহানি আইনকে সাংবিধানিকভাবে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল।বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ, বিচারপতি সতি̀শ চন্দ্র শর্মার সঙ্গে গঠিত বেঞ্চের নেতৃত্ব দিয়ে, এই মন্তব্য করেন।
ঘটনাটি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অমিতা সিংহের করা একটি অভিযোগ ঘিরে, যেটি ২০১৬ সালে দ্য ওয়্যার পোর্টালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে।অভিযোগে বলা হয়, অধ্যাপক সিংহ বিশ্ববিদ্যালয়কে “যৌন কেলেঙ্কারির কেন্দ্র” এবং “বিচ্ছিন্নতাবাদের ঘাঁটি” হিসেবে চিত্রিত করা একটি ২০০ পাতার ডসিয়ার তৈরি করেছিলেন। এ বিষয়ে দ্য ওয়্যার-এর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিংহ একটি ফৌজদারি মানহানি মামলা দায়ের করেন।
প্রথম সমন জারি হয় ২০১৭ সালে, যা সুপ্রিম কোর্ট ২০২৪ সালে খারিজ করে পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দেয়। এ বছরের জানুয়ারিতে ফের সমন জারি হয়, যা দিল্লি হাইকোর্ট সমর্থন করে। এর বিরুদ্ধে আপিলেই সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়।শুনানির সময় বিচারপতি সুন্দরেশ বলেন, “আমার মনে হয় এখন সময় এসেছে এগুলো ডিক্রিমিনালাইজ করার…”। এ সময় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কপিল সিব্বলও এতে সম্মতি জানান।
আদালতের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ ২০১৬ সালে বিচারপতি দীপক মিশ্র নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছিল, মানহানির অভিযোগ ব্যক্তির সুনামের সাথে জড়িত, যা সংবিধানের ২১ নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত জীবনের অধিকারের একটি মৌলিক অংশ। তবে নতুন পর্যবেক্ষণে আদালত মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর এর প্রভাব নিয়ে নতুন করে ভাবনার ইঙ্গিত দিল।
