মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল সন্তোষ কুমার গাঙ্গওয়ার এআইআইএমএস দেবঘরের ষষ্ঠ বার্ষিক দিবসে নতুন ডায়াগনস্টিক সুবিধার উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে রয়েছে ১০০০ এমএ এক্স-রে মেশিন, ১২৮-স্লাইস সিটি স্ক্যান ইউনিট এবং কার্ডিয়াক ক্যাথেটারাইজেশন ল্যাবরেটরি।
২৭০ একর জমিতে বিস্তৃত ৭৫০ শয্যার এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ইতিমধ্যেই আউটডোর বিভাগে সাত লক্ষেরও বেশি রোগীকে সেবা দিয়েছে। ঝাড়খণ্ড, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে রোগীরা এখানে আসছেন, ফলে এটি দ্রুতই আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও গবেষণার কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে।রাজ্যপাল স্মরণ করিয়ে দেন, জুলাই মাসে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন, যা ঝাড়খণ্ডের জন্য গর্বের মুহূর্ত এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সেবার অঙ্গীকার।
তিনি তরুণ চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, সাদা কোট সহমর্মিতা ও দায়িত্বের প্রতীক; তাই তাদের সংবেদনশীলতা ও নিষ্ঠাকে প্রতিষ্ঠানটির আসল পরিচয় হিসেবে ধরে রাখতে হবে।এআইআইএমএস দেবঘরকে তিনি “মানবতা ও সহমর্মিতার মন্দির” আখ্যা দিয়ে বলেন, চিকিৎসকের ধৈর্য ও কথাবার্তাও ওষুধের মতোই রোগীর আরোগ্যে সহায়ক।
তিনি উল্লেখ করেন, এই প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘সবার সাথে, সবার উন্নয়ন, সবার বিশ্বাস, সবার প্রয়াস’ দর্শনের প্রতিফলন এবং বিকশিত ভারত @ ২০৪৭ গড়ে তুলতে বড় ভূমিকা রাখবে।তিনি আরও জানান, এআইআইএমএস দেবঘর সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য সচেতনতা অভিযান চালিয়েছে, উন্নত ভারত অভিযান-এর আওতায় গ্রাম দত্তক নিয়েছে এবং জনঔষধি কেন্দ্র প্রচার করেছে।
আগামী দিনে এটি দেশের শীর্ষ মেডিকেল প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে স্থান করে নেবে বলে তার বিশ্বাস, ফলে ঝাড়খণ্ডের রোগীদের বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য আর মহানগর শহরে যেতে হবে না।
